প্রাকৃত ভাষা

একাদশ শ্রেণী

ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা

বড় প্রশ্ন (মান-৫)

প্রশ্ন- প্রাকৃত ভাষার এইরূপ নামকরনের কারণ কী? এই ভাষার তিনটি আঞ্চলিক রূপের নাম লেখ।

প্রাকৃত ভাষার নামকরণ
প্রাকৃত ভাষার নামকরণ

উত্তর- ভাষাতাত্ত্বিকদের মতে, ভারতীয় আর্য ভাষার বিবর্তনের মধ্য দিয়েই বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, অসমীয়া প্রভৃতি ভারতের আধুনিক ভাষাগুলির জন্ম হয়েছে। ভারতীয় আর্য ভাষার সাড়ে তিন হাজার বছরের ইতিহাসকে তিনটি যুগে বিভক্ত করা হয়।যথা-

১) প্রাচীন ভারতীয় আর্য (খ্রি:পূ:১৫০০- খ্রি:পূ: ৬০০)
২) মধ্য ভারতীয় আর্য (খ্রি:পূ:৬০০- ৯০০খ্রি:)
৩) নব্য ভারতীয় আর্য (৯০০খ্রি:- বর্তমান)

মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার প্রধান কথ্যরূপটি হল প্রাকৃত ভাষা যা সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুশাসন থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণ জনগণের ভাষা হয়ে উঠেছিল। এই ভাষাটিকে প্রাকৃত ভাষা বলা হয় দুটি কারণে-

১) ব্যাকরণের আলোচনায় ‘প্রকৃতি’ শব্দের অর্থ হল মূল উপাদান। বৈদিক-সংস্কৃত ভাষার মূল উপাদান নিয়ে এই ভাষার জন্ম তাই একে বলা হয় প্রাকৃত ভাষা।

২) প্রাকৃত ভাষা বলতে প্রাকৃত জনের বা সাধারণ জনগণের মুখের ভাষাকেও বোঝায়। উল্লেখ্য যে, সংস্কৃত ছিল শিক্ষিত মানুষের ভাষা এবং ব্যাকরণের বেড়াজাল থাকায় সাধারণ মানুষের পক্ষে সংস্কৃত আয়ত্ত করা সম্ভব হত না। এইজন্য সাধারণ মানুষ সংস্কৃত ভাষার মূল উপাদান গ্রহণ করে যে ভাষায় কথাবার্তা বলত তাকেই প্রাকৃত ভাষা বলা হয়।

প্রাকৃত ভাষার তিনটি আঞ্চলিক রূপ হল- ১) মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত ২) শৌরসেনী প্রাকৃত ৩) মাগধী প্রাকৃত।

এই অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

error: Content is protected !!