একটি শীতের দুপুরের অভিজ্ঞতা || Ekti Shiter Dupurer Avigyata
পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির অনুচ্ছেদ রচনা- একটি শীতের দুপুরের অভিজ্ঞতা (Paragraph Writing in Bengali for class v to viii- Ekti Shiter Dupurer Avigyata)। অনধিক দু’শো শব্দের মধ্যে অনুচ্ছেদ রচনা। খুবই সহজ সরল ভাষায় লেখা হয়েছে তবে ছাত্রছাত্রীরা রচনা মুখস্ত না করে যদি নিজে থেকে বানিয়ে লেখে, তাতে বেশি নাম্বার পাওয়া যায়।
অনুচ্ছেদ রচনা-একটি শীতের দুপুরের অভিজ্ঞতা
আগের বছর শীতকালে আমরা গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আসলে, প্রতিবছর শীতকালে গ্রামের বাড়ি থেকে আমরা একবার বনভোজন করি। সেই উপলক্ষে যাওয়া হয়েছিল।
পাহাড়ের হাতছানি:- আমাদের বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে একটা ছোট পাহাড় আছে। ঠিক হলো, ওই পাহাড়ের কোলেই বনভোজন করা হবে। পাহাড় আমার খুব ভালো লাগে। তবে এই পাহাড়ের উপরে ওঠা খুব মুশকিল। একে তো উপরে ওঠার কোনো রাস্তা নেই, তার ওপর গভীর জঙ্গল। আমার কিন্তু মন পড়েছিল পাহাড়ের চূড়াটার দিকে।
হইহুল্লোড়:- আমি, বাবা-মা, আমার দুই মাসি, মশাই ছাড়াও আরো কয়েকজন গিয়েছিল বনভোজন করতে। বড়োরা রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিল, আর আমরা ছোটরা পাহাড়ের কোলে লুকোচুরি খেলছিলাম। বেশ মজা হচ্ছিল।
দুপুরেও অন্ধকার:- লুকোচুরি খেলতে খেলতে হঠাৎ দেখলাম আমি যেন কোনো গর্তে ঢুকে গেলাম। একটু এগিয়ে যেতেই আর কোনো রাস্তা দেখতে পাচ্ছি না। আমি অনেক ডাকলাম কিন্তু কেউ শুনতে পেল না। শুনেছিলাম এই পাহাড়ের নিচেই একটা পুরানো গুহা আছে। বুঝতে পারলাম আমি ভুল করে গুহার মধ্যে চলে এসেছ। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর দেখলাম অন্ধকারের মধ্যে কেউ যেন মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট দেখাচ্ছে। আমি এগিয়ে যেতেই দেখলাম, আমার ছোট মশাই আমাকে নিয়ে যেতে এসেছে। তারপর কী হয়েছিল আর আমার মনে নেই।
উপসংহার:- জীবনের সব অভিজ্ঞতা যে মধুর হবে, এমন কোনো কথা নেই। জীবনের ভালো অভিজ্ঞতা যেমন সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকে, তেমনি খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক শিক্ষা পেয়ে থাকি। ওইদিন গুহার ভিতরে যা ভয় পেয়েছিলাম, সারা জীবনেও ভুলবো না। (শব্দ সংখ্যা ২১২)