উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ২০২২

WBCHSE HS BENGALI QUESTION ANSWER 2022

উচ্চমাধ্যমিক ২০২২ বাংলা প্রশ্নপত্র

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অর্থাৎ উচ্চমধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষার বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্র। বহুবিকল্পধর্মী প্রশ্ন (MCQ) এবং অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের (SAQ) উত্তর দেওয়া রয়েছে। বড় প্রশ্নগুলির উত্তর এই ব্লগেই পাওয়া যাবে।

১. ঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো: ১×১৮ = ১৮

১.১ “রক্তের অক্ষরে দেখিলাম” – কী দেখলেন ?
(ক) আপনার স্বপ্ন
(খ) আপনার জগৎ
(গ) আপনার বেদনা
(ঘ) আপনার রূপ। উঃ (ঘ) আপনার রূপ।

১.২ “মেঘমদির মহুয়ার দেশ” আছে –
(ক) খুব, খুব কাছে।
(খ) অনেক, অনেক দূরে
(গ) নিবিড় অরণ্যে
(ঘ) প্রান্তরের শেষে। উঃ (খ) অনেক, অনেক দূরে।

১.৩ “নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে / না-ই যদি হয়”
(ক) রােষ (খ) ক্ষোভ
(গ) রাগ (ঘ) ক্রোধ। উঃ (ঘ) ক্রোধ।

১.৪ থুথুড়ে ভিখিরি বুড়ির গায়ে জড়ানাে
(ক) চিটচিটে তুলাের কম্বল
(খ) ছেড়া কাপড়
(গ) নােংরা চাদর
(ঘ) দামী শাল। উঃ (ক) চিটচিটে তুলাের কম্বল।

১.৫ চাষাভুষাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে- দিতে প্রতীক্ষা করছিল –
(ক) গরম চায়ের
(খ) রােদ ঝলমল একটা দিনের
(গ) নীল উর্দিপরা চৌকিদারের
(ঘ) শহরে যাওয়ার বাসের। উঃ (খ) রােদ ঝলমল একটা দিনের।

১.৬ কী উচ্ছবকে বড়াে উতলা করে ?
(ক) বাদার চালের গন্ধ।
(খ) যজ্ঞ শেষে ভাত পাবার আশা
(গ) বউ-ছেলেমেয়ের কথা
(ঘ) ফুটন্ত ভাতের গন্ধ। উঃ (ঘ) ফুটন্ত ভাতের গন্ধ।

১.৭ “এ গল্প গ্রামে সবাই শুনেছে” – গল্পটা হল –
(ক) বাসিনীর মনিব বাড়িতে হেলাঢেলা ভাত
(খ) বাসিনীর মনিব খুব ভালাে লােক
(গ) বাসিনীর মনিব সতীশবাবুর আত্মীয়
(ঘ) বাসিনীর মনিব বাড়িতে লােকের মেলা। উঃ (ক) বাসিনীর মনিব বাড়িতে হেলাঢেলা ভাত।

১.৮ “হেড পণ্ডিত ইস্কুলে আমাকে প্রমােশন দেননি।” – কারণ –
(ক) সংস্কৃতে বারাে পেয়েছিলাম
(খ) সংস্কৃতে ফেল করেছিলাম
(গ) সংস্কৃতে দশ পেয়েছিলাম
(ঘ) সংস্কৃতে তেরাে পেয়েছিলাম। উঃ (ঘ) সংস্কৃতে তেরাে পেয়েছিলাম।

১.৯ “উঃ কী শীত – সব আছে শুধু …” – কী নেই ?
(ক) আলাে নেই
(খ) মানুষ নেই
(গ) শীতের পােষাক নেই
(ঘ) লােকজন নেই। উঃ (খ) মানুষ নেই।

১.১০ “স্টেশনমাস্টারের কাছে আবেদন জানানাে হল।”- কীসের আবেদন জানানাে হল?
(ক) ট্রেনটাকে থামানাের
(খ) ট্রেনটাকে চালানাের
(গ) নতুন ট্রেনের ব্যবস্থা করার
(ঘ) ট্রেনটাকে বাতিল করার। উঃ (ক) ট্রেনটাকে থামানাের।

১.১১ ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতাটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন –
(ক) অনিন্দ্য সৌরভ
(খ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
(গ) উৎপলকুমার বসু
(ঘ) শঙ্খ ঘােষ। উঃ (ঘ) শঙ্খ ঘােষ।

১.১২ ‘কাল্পনিক যুদ্ধ’-এর মৃত্যুকে নাট্যকার বলেছেন–
(ক) ইসথেটিক মরা
(খ) অস্বাভাবিক মরা
(গ) খুব রােমান্টিক
(ঘ) অদ্ভুত মরা। উঃ (ক) ইসথেটিক মরা।

১.১৩ “শাহজাদি! সম্রাটনন্দিনী! মৃত্যু ভয় দেখাও কাহারে”- কোন্ নাটকের অংশ?
(ক) মেবার পতন (খ) সাজাহান
(গ) রিজিয়া (ঘ) চন্দ্রগুপ্ত। উঃ (গ) রিজিয়া।

১.১৪ রামব্রীজকে রজনীবাবু কত টাকা বকশিশ দিয়েছিলেন ?
(ক) এক টাকা (খ) তিন টাকা
(গ) চার টাকা (ঘ) দুই টাকা। উঃ (খ) তিন টাকা।

১.১৫ “তুলসী লাহিড়ির ‘পথিক’ নাটক থেকে বলি – (ফিল্মি ঢঙে) “আমি তাে চললাম …”-
(ক) বৌদি (খ) শম্ভু
(গ) অমর (ঘ) সার্জেন্ট। উঃ (খ) শম্ভু।

১.১৬ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত ছবি
(ক) টুয়েলভ ইংক স্কেচেস (খ) হলকর্ষণ
(গ) শ্বেত অভিসারিকা (ঘ) উন্ডস। উঃ (গ) শ্বেত অভিসারিকা।

১.১৭ বাংলায় বিজ্ঞান রচনায় পথিকৃৎ পত্রিকা হল–
(ক) সমাচার দর্পণ (খ) তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা
(গ) দিগদর্শন (ঘ) প্রাকৃতিক বিজ্ঞান। উঃ (গ) দিগদর্শন।

১.১৮ যে অব্যয় শব্দের শুরুতে বসে তার অর্থ পরিবর্তন করে তাকে বলা হয় –
(ক) বিভক্তি (খ) উপসর্গ
(গ) প্রত্যয় (ঘ) অনুসর্গ। উঃ (খ) উপসর্গ।

১.১৯ ‘ভাত’ গল্পে বুড়াে কর্তার যা রােগ হয়েছিল –
(ক) যক্ষা (খ) ম্যালেরিয়া
(গ) টাইফয়েড (ঘ) ক্যান্সার। উঃ (ঘ) ক্যান্সার।

১.২০ বড়াে বাড়ির হােম-যজ্ঞি করতে এসেছিল-
(ক) বেদজ্ঞ পণ্ডিত (খ) শাস্ত্রজ্ঞ ব্রাহ্মণ
(গ) কুল-পুরােহিত (ঘ) তান্ত্রিক। উঃ (ঘ) তান্ত্রিক।

১.২১ বিভাজ্য ধ্বনির অপর নাম –
(ক) যুক্তধ্বনি (খ) পার্শ্বিক ধ্বনি
(গ) খণ্ড ধ্বনি (ঘ) তাড়িত ধ্বনি। উঃ (গ) খণ্ড ধ্বনি।

১.২২ ‘ডাওর’ কথাটির অর্থ –
(ক) ভদ্রলােক (খ) ছােটলােক
(গ) শহরের লােক (ঘ) গ্রামের লােক। উঃ (একটিও যথার্থ উত্তর নয়)।

১.২৩ “সবাই আবিষ্কার করল”
(ক) ভারতবর্ষ
(খ) বটতলায় বুড়ির অসাড় দেহ
(গ) শকুনের ঝাঁক
(ঘ) পড়ে থাকা পুঁটলি। উঃ (খ) বটতলায় বুড়ির অসাড় দেহ।

১.২৪ গােবর গুহের নাম কোন্ খেলার সঙ্গে যুক্ত?
(ক) কুস্তি (খ) ব্রতচারী
(গ) তিরন্দাজি (ঘ) কবাডি। উঃ (ক) কুস্তি।

২. এক কথায় উত্তর দাও (যেকোনো বারোটি)

২.১ “ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়…”- কাদের চোখে কী হানা দেয়?

উত্তরঃ কবি সমর সেনের লেখা ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় মহুয়ার দেশের শ্রমিকদের চোখে ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন হানা দেয়।

২.২ ‘আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা এ জীবন’- কবি জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা’ বলে মনে করেছেন কেন?

উত্তরঃ কবির মতে, সারা জীবন ধরে দুঃখের তপস্যা করেই সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করা যায়। তাই তিনি জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা’ বলেছেন।

২.৩ “সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল”- সবাই অবাক হয়েছিল কেন?

উত্তরঃ পউষে বাদলার দিনে একজন থুত্থুড়ে বুড়ি কীভাবে বেঁচেবর্তে হেঁটে আসতে পারল, সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।

২.৪ “চন্নুরী রে, তুইও খা”- কোন গল্পের অংশ? চন্নুরীর পরিচয় দাও?

উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ‘ভাত’ গল্পের অংশ। চন্নুরী হল উচ্ছব নাইয়ার মেয়ে।

২.৫ “তমে ঘােড়া নেইকরি চঞ্চল খবর নেই আসিবি” – এই নির্দেশ কে, কাকে দিয়েছিল বলে ‘বিভাব’ নাটকে উল্লেখ করা হয়েছে ?

উত্তরঃ উড়ে দেশের যাত্রায় রাজা তার দূতকে এই নির্দেশ দিয়েছিল।

২.৬ “আমি কৌতুহলী হয়ে উঠি”– কী বিষয়ে বক্তা কৌতুহলী হয়ে ওঠেন ?

উত্তরঃ গুরু নানক এবং মর্দানার প্রচলিত কাহিনি শোনার জন্য কথক কৌতুহলী হয়ে ওঠেন।

২.৭ “এমনি এলাম – একেবারে এমনি নয় …” – কে, কোথায় এসেছিলেন?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলীর বাড়িতে এসেছিলেন।

২.৮ ‘তাতে বয়েসটা ঠিক বােঝা যায় না’ – কার ‘বয়েস’ কেন বােঝা যায় না?

উত্তরঃ লম্বা লম্বা চুলে ডেইলি হাফ শিশি কলপ লাগিয়ে ইয়ার্কি টিয়ার্কি মারেন বলে রজনীবাবুর বয়েসটা ঠিক বোঝা যায় না।

২.৯ “তারা থাকত কোন বাসায়?”- কাদের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশে যারা সোনা-ঝকঝকে লিমা বানিয়েছিল, তাদের কথা বলা হয়েছে।

২.১০ “রজনীবাবু ভয়ে চিৎকার করে পিছিয়ে যান।”- কাকে, কী অবস্থায় দেখে রজনীবাবু ভয় পেয়েছিলেন।

উত্তরঃ পরনে ময়লা পাজামা, গায়ে কালো চাদর, এলোমেলো চুল, বুড়ো কালিনাথ সেনকে দেখে রজনীবাবু ভয় পেয়েছিলেন।

২.১১ ‘Dictionary’ শব্দটি কবে কোথায় পাওয়া যায়?

উত্তরঃ ১৫৩৮ সালে প্রকাশিত স্যার থমাস এলিয়েটের ল্যাটিন-ইংরেজি অভিধানে ‘Dictionary’ শব্দটি প্রথম পাওয়া যায়।

২.১২ স্যার উইলিয়াম জোন্স সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে যে সব ভাষার প্রচুর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন, তার মধ্যে দুটি ভাষার নাম লেখাে।

উত্তরঃ স্যার উইলিয়াম জোন্স সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে যে সব ভাষার প্রচুর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন, তার মধ্যে দুটি ভাষা হল গ্রিক, লাতিন।

২.১৩ সংক্ষেপিত পদ বা ক্লিপিংস কী?

উত্তরঃ উচ্চারণের সুবিধার জন্য অনেক সময় কোনো বড় শব্দকে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনায় একেই সংক্ষেপিত পদ বা ক্লিপিংস বলা হয়। যেমন- মাইক্রোফোন থেকে মাইক।

২.১৪ শ্বাসাঘাত কাকে বলে?

উত্তরঃ একাধিক দলযুক্ত কোনো শব্দের যেকোনো একটি দলকে বেশি জোর দিয়ে উচ্চারণ করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনায় একেই শ্বাসাঘাত বলে।

২.১৫ সমাজভাষাবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখাটি সমাজ এবং ভাষার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে, তাকে সমাজভাষাবিজ্ঞান বলে।

২.১৬ “ওই পাঁচ ভাগে ভাত হয়” – পাঁচ ভাগ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে ?

উত্তরঃ পাঁচ ভাগ হল- কনকপানি, পদ্মজালি, ঝিঙ্গেশাল, রামশাল এবং মোটাসাপটা।

২.১৭ “একজন ঠাণ্ডা মাথায় বলল” – কী বলেছিল?

উত্তরঃ একজন ঠান্ডা মাথায় বলেছিল যে, বুড়ি কোথায় থাকে সেই কথায় তারা জিজ্ঞেস করছে।

২.১৮ প্রত্যয় কাকে বলে ?

উত্তরঃ যেসব ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি পদ বা ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন পদ গঠন করে, তাদেরকে প্রত্যয় বলে।

২.১৯ অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে ?

উত্তরঃ ভাষার যে সকল ধ্বনি উপাদান একাধিক ধ্বনিখন্ড জুড়ে অবস্থান করে এবং সেইজন্য এগুলিকে আলাদা করে বিভাজন করা যায় না, তাদেরকে অবিভাজ্য ধ্বনি বলে।

২.২০ বর্ধমানে কোন্ গান বেআইনি ?

উত্তরঃ (প্রশ্নটি সঠিক নয় তাই উত্তর দেওয়া হল না)

১. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১ = ৫

১.১ “এ সংসারে সব কিছুই চলে বড়াে পিসিমার নিয়মে।” – বড়াে পিসিমা কে? গল্পে তার চরিত্রের কী পরিচয় পাওয়া যায়? ১ + ৪

১.২ “সেই সময় এল এক বুড়ি।” – লেখক বুড়ির সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখাে।

২. অনধিক ১৫০ শব্দে যেকোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও। ৫×১ = ৫

২. ১ “আরােগ্যের জন্য ঐ সবুজের ভীষণ দরকার”- ‘ঐ সবুজ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? সেই সবুজকে পাওয়ার জন্য কবি কী কী নির্দেশ দিয়েছেন? ১ +৪

২. ২ “আমি তা পারি না।” – কবি কী পারেন না? “যা পারি কেবল” – কবি কী পারেন?

৩. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫× ১ =৫

৩.১ “আমি রােজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রিনরুমে ঘুমােই চাটুজ্জেমশাই – কেউ জানে না” – কোন্ নাটকের অংশ? বক্তা কে? তিনি কেন গ্রিনরুমে ঘুমােন? ১+ ১+ ৩

৩.২ “জীবন কোথায়?” – কে, কাকে বলেছেন ? বক্তা জীবনকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করেন? ১ + ১ + ৩

8. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ X ১ = ৫

৪.১ “অবাক-বিহ্বল বসে আছি, মুখে কথা নেই।” – মুখে কথা নেই কেন?

৪.২ “কে আবার গড়ে তুলল এতবার?” – কী গড়ে তােলার কথা বলা হয়েছে? এই প্রশ্নের মাধ্যমে কবি কী বলতে চেয়েছেন? ১ + 8

৫. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫× ১ = ৫

৫.১ “এ-অঞ্চলের গারােদের ঘর দূর থেকে দেখলেই চেনা যায়” – কোন্ অঞ্চলের কথা বলা হয়েছে? গারােদের ঘর কেমন তার বিবরণ দাও। ১ + 8

৫.২ “জেলখানাটা পাহাড়ের তিনতলা সমান একটা হাঁটুর ওপর।” – কোন জেলখানা? সেখানে সাধারণ কয়েদিদের ওপর কীরকম অতাচার করা হত? ১+ ৪

৬. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫× ১ = ৫

৬.১ বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে? দুটি বিভাজ্য ধ্বনির পরিচয় দাও। ১+ ২+ ২

৬.২ ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাগুলির উল্লেখ করে যে-কোনাে একটি শাখার আলােচনা করাে। ২ + ৩

৭. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও। ৫x ২ = ১০

৭.১ বাঙালির বিজ্ঞান ভাবনা ও বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান আলােচনা করাে।

৭.২ বাংলা ক্রিকেটের ধারায় সারদারঞ্জন রায়চৌধুরীর অবদান আলােচনা করাে।

৭.৩ চিত্রকলা-চর্চায় শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর স্থান নিরূপণ করাে।

৭.৪ বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের অবদান আলােচনা করো।

৮. নিম্নলিখিত যে-কোনাে একটি বিষয় নির্বাচন করে, নির্দেশানুসারে কমবেশি ৪০০ শব্দে একটি প্রবন্ধ রচনা করাে: ১০×১ = ১০

৮.১ নিম্নে প্রদত্ত মানস-মানচিত্র অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করাে:

৮.২ প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে প্রস্তাবনা বা ভূমিকাস্বরূপ গ্রহণ করে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে, পরিণতি দানের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ রচনা করাে:

নতুন মাস্টারমশাই:

শ্রেণিতে যে সব বই নিয়ম করেই পড়তে হয়, মাস্টারমশাইরা যত্ন করেই তা পড়িয়ে দেবেন; এটুকু তাে প্রত্যাশিতই। মনকে নিশ্চয় একটু একটু করে শিক্ষিত স্তরে পৌঁছে দেয় সে সব পড়াশােনা। কিন্তু ছােটদের মনকে অনেকখানি বাড়তি সজীবতা দেয় মাস্টারমশাইদের এই প্রথা ভাঙবার সাহস। পাঠ্যরেখার স্থিরতার মধ্য থেকে মাঝে মাঝে হঠাৎ যদি কোনাে কিশাের মনকে তারা চালিয়ে দেন। কোনাে অভাবনীয়ের দিকে, কোনাে স্বপ্নের দিকে, কোনাে চ্যালেঞ্জের দিকে, তাহলে সে মন হয়তাে অনেকদিনের পুষ্টি পেয়ে যায়, পেয়ে যায় কোনাে নতুন জগতের আনন্দ।

৮.৩ প্রতিপক্ষের যুক্তির দুর্বলতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিবিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করাে:

বিতর্কের বিষয়: ‘ক্লাসরুম শিক্ষার’ পরিপূরক ‘অনলাইন এডুকেশন’।

পক্ষে: দীর্ঘ বিদ্যালয় বিরতিতে ছাত্রছাত্রীদের গৃহবন্দী জীবনের একমাত্র মাধ্যম ‘অনলাইন এডুকেশন’। এই ব্যবস্থার উৎসাহদাতা বা কার্যকারিতার কৃতিত্ব কিছুটা হলেও করােনা পরিস্থিতি। নার্সারি থেকে উচ্চতর শিক্ষা কার্যত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এই সমান্তরাল শিক্ষাপদ্ধতিতে। শহর তথা উচ্চবিত্ত পরিবারের ক্ষেত্রে এই শিক্ষা মাধ্যমের উপযােগিতা অপরিসীম।

বিপক্ষে: আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের কারণে এই সমান্তরাল শিক্ষামাধ্যম দেশের গ্রাম্যজীবনের ক্ষেত্রে পরিপূরক নয়। আচার্য বা শিক্ষকের সান্নিধ্য গ্রহণে যে অজ্ঞানের তিমির দূর হয় তার অভাব এই শিক্ষা পূরণ করতে পারে না। অনলাইন শিক্ষামাধ্যমে শিক্ষার মূলশর্ত থেকে বিদ্যার্থীরা বঞ্চিত হবে। বিকাশের পথ ও লক্ষ্য পরিপূর্ণতা পাবে না।

৮.৪ প্রদত্ত সূত্র ও তথ্য অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করাে :

সৈয়দ মুজতবা আলি (১৯০৪-১৯৭৪)

জন্ম: ১৯০৪ খ্রীঃ ১৩ সেপ্টেম্বরে অবিভক্ত ভারতবর্ষের শ্রীহট্টের অন্তর্গত করিমগঞ্জে।

পিতা- সৈয়দ সিকান্দার আলি।

শিক্ষা– সিলেট গভর্ণমেন্ট হাইস্কুলে পড়াশােনা শুরু। পরে শান্তিনিকেতনে এসে উচ্চতর বিদ্যার্জন ও রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্যলাভ।

স্নাতকোত্তর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণা: বন বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানী।

গবেষণার বিষয়: তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব। বাংলা, ইংরাজি, সংস্কৃত, আরবী, জার্মান, ফরাসী, পারসিক এবং হিন্দুস্তানী ভাষায় তাঁর সর্বোচ্চ স্তরের দক্ষতা ছিল। এছাড়া আরাে আটটি ভাষার সঙ্গে তার পরিচিতি ছিল।

ভ্রমণ, বাস, কর্মজীবন: কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক জীবন শুরু করে পৃথিবীর অজস্র খ্যাতনামা শিক্ষাপীঠে তিনি শিক্ষাদান করেছেন। কায়রাে, করাচি থেকে ইউরােপ যেখানেই তিনি গিয়েছেন, মাতৃভাষা বাংলাকে তিনি ভুলতে পারেন নি, চানও নি। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ আজও সক্রিয় এবং সেখানেও প্রাচীন বাংলার পুথি রক্ষিত আছে, মূলত তাঁরই উদ্যোগে।

গ্রন্থ: দেশে-বিদেশে, পঞ্চতন্ত্র (১ম ও ২য়), চাচা কাহিনী, ময়ূরকণ্ঠী, অবিশ্বাস্য, জলে-ডাঙায়, ধূপছায়া, দ্বন্দ্ব-মধুর, শবনম, ভবঘুরে ও অন্যান্য, বহু বিচিত্রা, রাজা-উজীর, কত না অশ্রুজল, গুরুদেব ও শান্তিনিকেতন।

রচনা বৈশিষ্ট্য: হাস্যরসােজ্জল, ভাবগম্ভীর, পাণ্ডিত্যের স্বতঃ প্রকাশে বাংলার চিরকালের গদ্যসাহিত্যের উজ্জ্বল রত্ন। বাংলার প্রতিভাবানদের নিত্যসভায় তাঁর অমর আসন।

উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা প্রশ্ন

error: Content is protected !!