উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ২০২৩

WBCHSE HS BENGALI QUESTION ANSWER 2023

উচ্চমাধ্যমিক ২০২৩ বাংলা প্রশ্নপত্র

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অর্থাৎ উচ্চমধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষার বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্র। বহুবিকল্পধর্মী প্রশ্ন (MCQ) এবং অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের (SAQ) উত্তর দেওয়া রয়েছে। বড় প্রশ্নগুলির উত্তর এই ব্লগেই পাওয়া যাবে।

১. ঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো: ১×১৮ = ১৮

(i) “ভাত খাবে কাজ করবে”। – এই কথা বলেছিল –
(ক) বামুন ঠাকুর
(গ) বড়ো পিসিমা
(খ) বাসিনী
(ঘ) বড়ো বউ। উঃ (ক) বামুন ঠাকুর।

(ii) ‘যথেষ্ট রিলিফ ওয়ার্ক’ না হওয়ার কারণ –
(ক) টাকার অভাব
(খ) লোকের অভাব
(গ) সদিচ্ছার অভাব
(ঘ) সামগ্রীর অভাব। উঃ (খ) লোকের অভাব।

(iii) “নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে” –
(ক) যা ঘটেছে ভুলে যেতে
(খ) অফিসের কাজে মন বসাতে
(গ) সংসারে মন দিতে
(ঘ) এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না। উঃ (ঘ) এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।

(iv) কোন্ বারে বাদলা লাগলে সাতদিন থাকবে ?
(ক) শনিবারে
(খ) মঙ্গলবারে
(গ) বুধবারে
(ঘ) সোমবারে। উঃ (ক) শনিবারে।

(v) “বুড়িমা। তুমি মরনি।”- একথা বলেছিল- –
(ক) নক্‌ড়ি নাপিত
(খ) ফজলু সেখ
(গ) করিম ফরাজি
(ঘ) চৌকিদার। উঃ (ঘ) চৌকিদার।

(vi) “জানিলাম এ জগৎ”
(ক) সত্য নয়
(খ) স্বপ্ন নয়
(গ) কল্পনা নয়
(ঘ) বাস্তব নয়। উঃ (খ) স্বপ্ন নয়।

(vii) “শহরের অসুখ” হাঁ করে কী খায় ?
(ক) বাতাস
(খ) ধোঁয়া
(গ) ধুলো
(ঘ) সবুজ। উঃ (ঘ) সবুজ।

(viii) ‘রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে’-
(ক) দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য
(খ) অসহ্য, নিবিড় অন্ধকার
(গ) দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস
(ঘ) শীতের দুঃখ। উঃ (গ) দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস।

(ix) “… শরীরটাকে স্রোতের মতো / একটা আবেশ দেওয়ার জন্য” হরিণটি–
(ক) নরম ঘাসের উপর শুয়ে পড়ল
(খ) নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নামল
(গ) অর্জুন বনের ছায়ায় দাঁড়াল
(ঘ) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের উত্তাপ নিল। উঃ (খ) নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নামল।

(x) “এর নাম হওয়া উচিত”
(ক) বিভাব নাটক
(খ) অভাব নাটক
(গ) পূর্ণাঙ্গ নাটক
(ঘ) হাসির নাটক। উঃ (খ) অভাব নাটক।

অথবা, (xi) ‘মঞ্চের মাঝখানে’ ওল্টানো রয়েছে-
(ক) একটি ছবি
(খ) একটি চেয়ার
(গ) একটি লণ্ঠন
(ঘ) একটি টুল। উঃ (ঘ) একটি টুল।

(xii) শম্ভু মিত্রের মতে, জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে-
(ক) রাস্তায়, মাঠে, ঘাটে
(খ) চার দেওয়ালের মধ্যে
(গ) বুকের মধ্যে
(ঘ) মঞ্চের মাঝে। উঃ (ক) রাস্তায়, মাঠে, ঘাটে।

অথবা, (xiii) “এসব বাজে কথায় আমি বিশ্বাস করি না।” – বাজে কথাটি হল-
(ক) অভিনেতার মৃত্যু নেই
(খ) নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প
(গ) রজনী চাটুজ্জে মরে গেছে।
(ঘ) পাবলিক আমাকে আর চায় না। উঃ (খ) নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প।

(xiv) ‘সার্জেন্ট বা পুলিশের পরিচ্ছদের মধ্যে কোনো বিশেষত্ব নেই– কেবল সার্জেন্ট-এর একটি’
(ক) টুপি থাকে
(খ) লাঠি থাকে
(গ) ক্রস বেল্ট থাকে
(ঘ) ব্যাজ থাকে। উঃ (গ) ক্রস বেল্ট থাকে।

অথবা, (xv) দিলদারের পোশাকে রজনীকান্তের হাতে ছিল –
(ক) জ্বলন্ত ধূপকাঠি
(খ) তরবারি
(গ) আতরদান
(ঘ) জ্বলন্ত মোমবাতি। উঃ (ঘ) জ্বলন্ত মোমবাতি।

(xvi) “যখন সমুদ্র তাকে খেল” – কাকে খেল
(ক) আটলান্টিসকে
(খ) থিবসেকে
(গ) লিমাকে
(ঘ) ব্যাবিলনকে। উঃ (ক) আটলান্টিসকে।

অথবা, (xvii) “বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন” –
(ক) গাছের তলায়
(খ) পথের ধারে
(গ) পাহাড়ের চূড়ায়
(ঘ) নদীর ধারে। উঃ (গ) পাহাড়ের চূড়ায়।

(xviii) রবীন্দ্রনাথের প্রথম সঙ্গীত শিক্ষক ছিলেন
(ক) বিষ্ণুচন্দ্র চক্রবর্তী
(খ) রঘুনাথ রায়
(গ) নিধুবাবু
(ঘ) জ্ঞান গোঁসাই। উঃ (ক) বিষ্ণুচন্দ্র চক্রবর্তী।

(xix) ‘দাদার কীর্তি’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক
(ক) তপন সিংহ
(খ) দীনেন গুপ্ত
(গ) গৌতম ঘোষ
(ঘ) তরুণ মজুমদার। উঃ (ঘ) তরুণ মজুমদার।

(xx) কালাজ্বরের প্রতিষেধক ইউরিয়া স্টিরামাইন আবিষ্কার করেন –
(ক) রাধাগোবিন্দ ধর
(খ) নীলরতন সরকার
(গ) স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী
(ঘ) বিধানচন্দ্র রায়। উঃ (গ) স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী।

(xxi) মুখের মান্য বাংলার স্বরধ্বনির সংখ্যা –
(ক) ছয়
(খ) সাত
(গ) আট
(ঘ) নয়। উঃ (খ) সাত।

(xxii) ‘থিসরাস’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল-
(ক) অভিধান
(খ) শব্দকোষ
(গ) রত্নাগার
(ঘ) শব্দভাণ্ডার। উঃ (গ) রত্নাগার।

২. এক কথায় উত্তর দাও (যেকোনো বারোটি)

(i) “বুড়ি খেপে গেল।” – কোন্ কথায় বুড়ি খেপে গেল?

উত্তরঃ বুড়িকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় যে, সে হিন্দু নাকি মুসলমান, তখন সে খেপে গিয়েছিল।

(ii) “উচ্ছব আবার কাঠ কাটতে থাকে।” — উচ্ছব কাঠ কাটছিল কেন?

উত্তরঃ বুড়ো কত্তাকে সুস্থ করার জন্য যে যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল, তারই জন্য উচ্ছব কাঠ কাটছিল।

(iii) “কীসের মূল্যবোধ!” – কোন্ প্রসঙ্গে বক্তার এরূপ উপলব্ধি হয়েছে?

উত্তরঃ নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে যেকোনো মানুষের ক্রোধ হওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গেই কবির মনে হয়েছে, যদি ক্রোধ না হয় তবে “কীসের মূল্যবোধ!”

(iv) “অলস সূর্য দেয় এঁকে” – অলস সূর্য কী এঁকে দেয়?

উত্তরঃ সন্ধ্যার জলস্রোতে অলস সূর্য ‘গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ’ এঁকে দেয়।

(v) কারা, কেন সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছিল?

উত্তরঃ শীতের রাতে শরীর উষ্ণ রাখার জন্য দেশোয়ালীরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছিল।

(vi) “চিনিলাম আপনারে” – কবি কীভাবে নিজেকে চিনলেন?

উত্তরঃ কবি আঘাত এবং বেদনার মাধ্যমে নিজেকে চিনলেন।

(vii) “অমর নায়কের কথা শুনেই তাড়াতাড়ি একটু এগিয়ে” কী করেন?

উত্তরঃ অমর নায়কের কথা শুনেই তাড়াতাড়ি একটু এগিয়ে পকেট থেকে রুমাল বার করে মুখ মুছে একদিকে কায়দা করে তাকিয়ে একটা পা নাড়তে থাকেন।

অথবা, “তখন মনে মনে কত আশা, কত প্ল্যান !’ – কে, কীসের আশা ও প্ল্যান করেছিলেন?

উত্তরঃ পেশাদারী নাটকের মঞ্চাভিনেতা রজনী চট্টোপাধ্যায় তার ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে অনেক আশা এবং প্ল্যান করেছিলেন।

(viii) “তারা এসব মানবে কেন ?” – কারা, কী মানবে না বলে বক্তার মনে হয়েছে?

উত্তরঃ নাট্যসরঞ্জাম না নিয়ে, কেবল অঙ্গভঙ্গিমার মাধ্যমে নাটক করলে শহরের লোকে মানবে না বলে নাট্যকার শম্ভু মিত্র মনে করেন।

অথবা, “তাঁকে এরূপে বন্দি করে রাখা কি প্রয়োজন?” – কে, কাকে বন্দি করে রেখেছিলেন?

উত্তরঃ ঔরঙ্গজেব তার পিতা শাহজাহানকে বন্দী করে রেখেছিলেন।

(ix) “স্টেশন মাস্টারের কাছে আবেদন জানানো হল।”- কীসের আবেদন জানানো হয়েছিল?

উত্তরঃ কয়েদিদের নিয়ে যে ট্রেনটি যাবার কথা ছিল, সেটি পাঞ্জাসাহেবে থামানোর আবেদন জানানো হয়েছিল।

অথবা, “সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা?” – কোন্ সন্ধ্যার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ চীনের প্রাচীর নির্মাণ যখন শেষ হল, সেই সন্ধ্যার কথা বলা হয়েছে।

(x) ‘কলম’ শব্দের আদি অর্থ এবং বর্তমান অর্থ লেখো।

উত্তরঃ ‘কলম’ শব্দের আদি অর্থ শর বা খাগ দিয়ে তৈরি লেখনী এবং বর্তমান অর্থ যেকোনো বস্তু দ্বারা নির্মিত লেখনী।

(xi) যুগ্মধ্বনি কত রকমের ও কী কী?

উত্তরঃ যুগ্মধ্বনি দুই রকমের। যথা- যুক্তধ্বনি এবং গুচ্ছধ্বনি।

(xii) বর্গান্তর কাকে বলে?

উত্তরঃ যখন কোনো বিশেষ্য পদ বিশেষণরূপে অথবা, কোনো বিশেষণ পদ বিশেষ্যরূপে ব্যবহৃত হয়, রূপতত্ত্বের আলোচনায় তাকে বর্গান্তর বলে। যেমন, ‘এ অতি উত্তম প্রস্তাব’ এবং ‘উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে’- এই দুটি বাক্যে ‘উত্তম’ পদটি যথাক্রমে বিশেষণ ও বিশেষ্যরূপে ব্যবহৃত হয়েছে।

 বিষয়ভিত্তিক / বর্ণনামূলক প্রশ্নাবলী

৩। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ × ১= ৫

৩.১ “ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা” – কে, কাকে, কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? উদ্ধৃত অংশের তাৎপর্য লেখো। ১+১+১+২

৩.২ “বচসা বেড়ে গেল।” – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বচসার কারণ আলোচনা করো।

৪। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১ = ৫

৪.১ “সে কখনো করে না বঞ্চনা” – কে, কখনও বঞ্চনা করে না? কবি কীভাবে এই উপলব্ধিতে পৌঁছেছেন? ১+৪

৪.২ “আগুন জ্বলল আবার” – কবিতায় ‘আবার’ শব্দটির ব্যবহারের তাৎপর্য কী? আবার আগুন জ্বলল কেন? এই ঘটনা কীসের ইঙ্গিত দেয়? ১+১+৩

৫। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১ = ৫

৫.১ “তাদের অভিনয় দেখে আইজেনস্টাইন সাহেব অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত হয়ে অনেক কথা লিখেছেন।”- আইজেনস্টাইন সাহেব কে? তিনি কাদের অভিনয় দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন? সেই অভিনয় দেখে তিনি কী লিখেছিলেন? ১+১+৩

৫.২ “জানো, কালীনাথ, একটি মেয়ে।” — এই মেয়েটির বর্ণনা যেভাবে বক্তা কালীনাথকে বর্ণনা করেছেন তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। রজনীর জীবনে এই মেয়েটির প্রভাব আলোচনা করো। ২+৩

৬। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ ×১ =৫

৬.১ “জয়তোরণে ঠাসা মহনীয় রোম কারণ কী ? কথাটি ব্যাখ্যা করো। প্রসঙ্গটি উল্লেখের

৬.২ “এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।” – কোন্ প্রসঙ্গে, কে মন্তব্যটি করেছিলেন ? বক্তার এই মন্তব্যে কি কোনো কাজ হয়েছিল ? এই বিষয়ে বক্তাকে এবারে কী ভূমিকা নিতে হয়েছিল ? ১+১+১+২

৭। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ ×১ =৫

৭.১ “অমনি মনের মধ্যে গুনগুনিয়ে উঠল মার কাছে শেখা গান।”- লেখক কী গান শুনেছিলেন মায়ের কাছ থেকে? কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন লেখক? S+8

৭.২ “বিশ্বাস করো, বানানো গল্প নয়।” কোন্ রচনার অংশ ? লেখক যে কাহিনি সম্বন্ধে একথা বলেছেন, সেটি সংক্ষেপে লেখো। ১ + ৪

৮। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫ ×১ =৫

৮.১ উদাহরণসহ ধ্বনিমূল ও সহধ্বনির সম্পর্ক বুঝিয়ে দাও।

৮.২ শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বটি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।

৯। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫ x ২ = ১০

৯.১ বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাসে রবীন্দ্রসংগীতের গুরুত্ব আলোচনা করো।

৯.২ বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের অবদান আলোচনা করো।

৯.৩ বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো।

৯.৪ বাঙালির কুস্তিচর্চার ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

১০. নিম্নলিখিত যে-কোনো একটি বিষয় নির্বাচন করে, নির্দেশানুসারে কমবেশি ৪০০ শব্দে একটি প্রবন্ধ রচনা করো : ১০ × ১ = ১০

১০.১ নিম্নে প্রদত্ত মানস-মানচিত্র অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করো:

মানস মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা

১০.২ প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে প্রস্তাবনা বা ভূমিকাস্বরূপ গ্রহণ করে, পরিণতি দানের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ রচনা করো :

মানবজীবন

বহু বিচিত্র এ জীবন। বহতা নদীর মতো ক্ষণে ক্ষণে এই জীবনের রূপ বদলায়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই জীবনের পথ পরিক্রমা- কত সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, চাওয়া-পাওয়া, এ জীবন কখনো সকল পাওয়ায় সন্তুষ্ট নয়। সব পাওয়া কী – তাই এ জীবন জানে না। শুধু আকণ্ঠ তৃষ্ণা এ জীবন বয়ে চলে। যত মানুষ তত রকম তাদের জীবনধারা। এ জীবন কোথায় ছিল, কোথায় এল আর কোথায় বা যাবে।

১০.৩ প্রতিপক্ষের যুক্তির দুর্বলতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিবিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করো :

বিতর্কের বিষয়: বিজ্ঞাপন ছাড়া বর্তমান জীবন অচল

পক্ষে: বর্তমান বিজ্ঞাপনের অভূতপূর্ব প্রসার ঘটেছে। নানারূপ গণমাধ্যম এবং সমাজ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে ও শুনে মানুষ নানা বিষয় ও বস্তু সম্পর্কে জানতে পারছে। তাতে পণ্যের গুণাগুণ বিচার করে যথাযথ পণ্য গ্রহণ করতে পারছে। বিজ্ঞাপন মানুষকে তার প্রয়োজন বা চাহিদা সম্পর্কে সচেতন করে তুলছে। সাধারণ মানুষ আরো ভালো জীবনযাপনে অগ্রসর হবার সুযোগ পাচ্ছে। সব বিজ্ঞাপন বস্তুগত নয়, সামাজিক সচেতনতার তথ্যমূলক নানা বিজ্ঞাপন জনমানসকে সমৃদ্ধ করছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চারপাশে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনের মধ্যে আমাদের জীবন আবদ্ধ। তাই একথা বলাই যায় যে বিজ্ঞাপন ছাড়া বর্তমান জীবন অচল।

বিপক্ষে: বিজ্ঞাপনই কি আমাদের বর্তমান-জীবন সচল রেখেছে ? না। একথা মানা যায় না। বরং বিজ্ঞাপন বর্তমান জীবনকে বিভ্রান্ত করছে। নগর সভ্যতা থেকে দূরে প্রত্যন্ত গ্রামে যে মানুষ বাস করেন, বিজ্ঞাপনের চমক ছাড়াই তাঁর জীবন স্বাভাবিকভাবে অতিবাহিত হতে পারে। পণ্যের বিজ্ঞাপনে অনেক মিথ্যে, অনেক চমক থাকতে পারে। এসব মানুষকে প্রলুব্ধ করার ব্যবসায়িক কৌশল। এসব থেকে মুক্ত থাকার মানুষও কম নেই। সমাজ, শিক্ষা ইত্যাদি কেন্দ্রিক কিছু বিজ্ঞাপন ছাড়া অন্যান্য বিজ্ঞাপন না থাকলেও জীবন বিজ্ঞানের নিয়মে চলবে। লোভনীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন বরং অধিকাংশ নাগরিকের ক্ষতিই করে। সাধ ও সাধ্যের ফারাকটিকে প্রকট করে তোলে।

১০.৪ প্রদত্ত সূত্র ও তথ্য অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করো:

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী

জন্ম: ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৭, ওড়িশার কটক শহরে জন্মস্থান।

পিতা, মাতার নাম : জানকীনাথ বসু, প্রভাবতী বসু।

শিক্ষাজীবন: প্রথমে কটকের প্রোটেস্ট্যান্ট ইওরোপীয় স্কুল, পরে কটকের রাভেনশ কলেজিয়ট স্কুল।

উচ্চশিক্ষা : প্রেসিডেন্সি কলেজ, IAS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

রাজনৈতিক জীবন: গান্ধীজির নির্দেশ অনুসারে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সঙ্গে কাজ শুরু – মতপার্থক্য- ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রতিষ্ঠা- কারাবরণ – কারাগারে আমরণ অনশন- গৃহবন্দী – ১৯৪১ সালে পলায়ন – জার্মানি থেকে সিঙ্গাপুরে আগমন – আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন।

বিখ্যাত স্লোগান: “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” এবং “দিল্লি চলো”।

সাহিত্য রচনা: তরুণের স্বপ্ন, মুক্তি সংগ্রাম, দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল।

অন্তর্ধান ও মৃত্যু: ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইওয়ানে একটি বিমান। দুর্ঘটনায় মারা যান বলে প্রচারিত কিন্তু তাঁর দুর্ঘটনার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় নি। ফলে তাঁর মৃত্যু এখনও বিতর্কের বিষয়।

উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা প্রশ্ন[

error: Content is protected !!