ভারতের ভাষাপরিবার || Bharoter Bhasa Paribar

একাদশ শ্রেণির পাঠ্য ‘ভারতের ভাষা পরিবার এবং বাংলা ভাষা’ অধ্যায়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই অধ্যায়েই রয়েছে আমাদের সাধের মাতৃভাষা বাংলা ভাষার জন্ম ইতিহাস। এই অধ্যায় থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রশ্ন এবং অসংখ্য অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন রয়েছে। নীচের ভিডিওটি দেখলে সব শর্ট প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে এবং একইসঙ্গে বড় প্রশ্নগুলি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

ভারতের ভাষা পরিবার

আলোচ্য অধ্যায়ে ভারতের চারটি ভাষাবংশের পরিচয় যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত।

ভারতের ভাষা পরিবার
ভারতের ভাষা পরিবার

ভারতকে বলা হয় চার ভাষাবংশের দেশ। ভারতে প্রচলিত সমস্ত ভাষা চারটি মূল ভাষাবংশ থেকে এসেছে। এগুলি হল-

১) আদি-অস্ত্রাল

সাঁওতালি, মুন্ডারি ইত্যাদি ভাষা এই ভাষা বংশের অন্তর্গত। সাঁওতালি ভাষার লিপি হল অলচিকি। অলচিকি লিপি তৈরি করেন পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু।

২) ভোট-বর্মী

উত্তর-পূর্ব ভারতের উপজাতি অঞ্চলে প্রচলিত কয়েকটি ভাষা এই বংশের অন্তর্গত।

৩) দ্রাবিড়

দক্ষিণ ভারতের চারটি প্রধান ভাষা হল দ্রাবিড় ভাষাবংশের অন্তর্গত। এগুলি হল- তামিল, তেলগু, কন্নড় এবং মালায়লম।

৪) ইন্দো-ইউরোপীয়

ভারতের বেশিরভাগ ভাষা এই ভাষা বংশ থেকে এসেছে। ভাষাবিজ্ঞানীদের অনুমান যে খ্রীঃ পূঃ ১৫০০ অব্দে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশের একটি শাখা ইন্দো-ইরানীয় নামে ভারতে প্রবেশ করে। এই নরগোষ্ঠীর নাম আর্য। এদের ভাষাকে বলা হত বৈদিক ভাষা। পরবর্তীকালে এই বৈদিক ভাষার সংস্কার করা হয় এবং নাম হয় সংস্কৃত। সংস্কৃত থেকে পরবর্তীকালে প্রাকৃত ভাষার জন্ম হয়। প্রাকৃত ভাষা ছিল সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা। আরো পরে প্রাকৃত থেকে অপভ্রংশ ভাষা সৃষ্টি হয়। আর অপভ্রংশ থেকে আধুনিক ভারতের অধিকাংশ ভাষার জন্ম হয়েছে বলে পন্ডিতেরা মোট প্রকাশ করেছেন। সেই হিসেবে বাংলা, ওড়িয়া, অসমিয়া প্রভৃতি ভাষার জন্মকাল ১০০০ খ্রিস্টাব্দ। বাংলা ভাষার জননী হল পুর্বী-মাগধী প্রাকৃত।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

এই অধায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরের জন্য এখানে ক্লিক করো

বড় প্রশ্ন

পরের অধ্যায়ঃ বাংলা লিপির ইতিহাস

error: Content is protected !!