কে বাঁচায় কে বাঁচে

কে বাঁচায় কে বাঁচে

লেখক পরিচয়

রবীন্দ্র-পরবর্তীকালের একজন বিখ্যাত বাংলা ঔপন্যাসিক এবং ছোটোগল্পকার ছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়(১৯০৮-১৯৫৬)। তার আসল নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রথম গল্প ‘অতসীমাম’। বহু উপন্যাস ও ছোটোগল্প তিনি লিখেছেন। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হল- ‘পদ্মানদীর মাঝি’, ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’, ‘দিবারাত্রির কাব্য’ প্রভৃতি। মানিকের উপন্যাসে রক্তমাংসের মানুষের মনের কথা বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে।

কাহিনি সংক্ষেপ

‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পটি দুর্ভিক্ষের সময়কার গল্প। এই গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় আর তার অফিসের সহকর্মী নিখিল। মৃত্যুঞ্জয় সহজ-সরল এবং আদর্শবাদী মানুষ। নিখিলও পরোপকারী মানুষ কিন্তু সে বাস্তববাদী এবং বন্ধু হিসেবে মৃত্যুঞ্জয়কে সে ভালোবাসে।

কে বাঁচায় কে বাঁচে
কে বাঁচায় কে বাঁচে

একদিন অফিস যাবার সময় মৃত্যুঞ্জয় একটি অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখল। সেই প্রথম কাউকে না খেতে পেয়ে মরতে দেখল মৃত্যুঞ্জয়। এই ঘটনা তার মনে এমন প্রভাব ফেলেছিল যে মানুষটি না খেয়ে মরে গেল, তার মৃত্যুর জন্য মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে দায়ী মনে করতে লাগল। সে ঠিক করল নিজে না খেয়ে লোককে খাওয়াবে। বেতন পাবার পরও সমস্ত মাইনেটা রিলিফ ফান্ডে দান করে দিল অথচ মৃত্যুঞ্জয়ের নিজের বাড়িতে অভাব। যাইহোক, একসময় সে ঘর আসাই বন্ধ করে দেয়। পথে ঘুরে ঘুরে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষজনের খবর নেয়। গল্পের শেষে দেখা যায় যে মৃত্যুঞ্জয় নিজেই লঙ্গরখানায় দাঁড়িয়ে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের দলে মিশে খাবার ভিক্ষে করতে থাকে।

গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রশ্ন

এমসিকিউ মক টেস্ট

গল্পটি ভালোভাবে পড়া হয়ে গেলে এই লিংক থেকে MCQ Mock Test দিতে পারো। এই মক টেস্টটি বিগত বছরগুলিতে যে ধরণের প্রশ্ন এসেছে তেমনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দিয়ে সাজানো হয়েছে। তাহলে নিজেই নিজের পড়া যাচাই করে  নাও।

পরের পাঠ- ভাত ভারতবর্ষ

error: Content is protected !!