ভারতবর্ষ

লেখক পরিচয়

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কথাশিল্পী সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ (১৯৩০-২০১২)। তিনি বহু উপন্যাস এবং ছোটোগল্প লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছোটোগল্পের তালিকায় রয়েছে- “ইন্তিপিসি ও ঘাটবাবু”, “ভালোবাসা ও ডাউনট্রেন”, “তরঙ্গিনীর চোখ”,”জল সাপ ভালোবাসা”, “হিজলবিলের রাখালেরা”, “রণভূমি” ইত্যাদি। তাঁর “কিংবদন্তির নায়ক”, “হিজলকন্যা”, “উত্তর জাহ্নবী”, “তৃণভূমি”, “বন্যা”, “নিশিমৃগয়া”, “কামনার সুখদুঃখ”, “নিশিলতা” প্রভৃতি উপন্যাস বাঙালি পাঠকসমাজে সমাদৃত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বিচিত্র কর্মময় জীবনের অভিজ্ঞতা তাঁর লেখাতেও ফুটে উঠেছে।

ভারতবর্ষ
ভারতবর্ষ

কাহিনি সংক্ষেপ

শীতকালের বাদলা। মাঠের ধান মাঠে রয়ে গেছে, কাটার উপায় নেই। গ্রামের চাষিবাসি লোক এসে মোড়ের চায়ের দোকানে আড্ডার আসর জমিয়েছে। এমনি সময় কোথা থেকে এল এক বুড়ি। লম্বা চেহারা আর পরনে তেলচিটে শীতবস্ত্র। সবাই ভাবল বুড়ি এই শীতে নির্ঘাত মরবে। এককাপ চা খেয়ে পয়সা মিটিয়ে বাজার-চত্বরের একটি বটগাছের খোঁদলে আশ্রয় নিল বুড়িটা।

মেঘ কেটে গেছে, বাদলাও থেমে গেছে। বাজারের চা-অয়ালা জগা প্রথম দেখল যে বুড়ির দেহ অসাড়। সবাই বুঝল বুড়ি মারা গেছে। কয়েকজন পরামর্শ করে বুড়ির মরদেহ ফেলে দিয়ে এল নদীতে।

বিকেলে দেখা গেল মুসলমান পাড়ার একদল লোক বুড়ির মরদেহ নিয়ে বাজারের দিকে এগিয়ে আসছে। এদের বক্তব্য যে বুড়ি মুসলমান তাই তাকে কবর দিতে হবে। এটা আবার হিন্দুরা মেনে নিতে পারল না। শুরু হল দু’পক্ষের লড়াই। নীল ঊর্দি পরা চৌকিদার লাঠি হাতে কোনোরকমে দু’পক্ষকে সামলে রাখল।

বুড়ি যতদিন বেঁচে ছিল তার খবর কেউ নেয় নি কিন্তু সে মারা যাবার পর হিন্দু-মুসলমানে ঝগড়া বেঁধে গেল তার মরদেহ নিয়ে। এমন সময়, সবাই চমকে উঠে দেখল যে বুড়ির মড়াটা নড়ছে! তবে তো বুড়ি মরেনি। সবাই বুড়িকে জিগ্যেস করল- “বুড়ি তুমি হিন্দু না মুসলমান”? বুড়ি রেগে গিয়ে তাদের গালিগালাজ করে আবার পালিয়ে গেল।

গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রশ্ন

এমসিকিউ মক টেস্ট

গল্পটি ভালোভাবে পড়া হয়ে গেলে এই লিংক থেকে MCQ Mock Test দিতে পারো এই মক টেস্টটি বিগত বছরগুলিতে যে ধরণের প্রশ্ন এসেছে তেমনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দিয়ে সাজানো হয়েছে তাহলে নিজেই নিজের পড়া যাচাই করে  নাও

ভাত  রূপনারানের কূলে

error: Content is protected !!