দ্বীপান্তরের বন্দিনি

একাদশ শ্রেণির বাংলা

দ্বীপান্তরের বন্দিনী

কবি পরিচিতি

‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ কবিতাটি বিদ্রোহি কবি কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯- ১৯৭৬) লেখা। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল- ‘অগ্নিবীণা’, ‘সাম্যবাদী’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘ফণীমনসা’, ‘সর্বহারা’ প্রভৃতি। কবিতা ছাড়াও কাজী নজরুল ইসলাম প্রায় তিন হাজার গান রচনা করেছেন যেগুলি নজরুলগীতি নামে খ্যাত।

উৎস

আলোচ্য কবিতাটি কবির ‘ফণীমনসা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। 

বিষয়বস্তু

পরাধীন ভারতের প্রেক্ষাপটে লেখা এই কবিতাটি একটি রূপক কবিতা। ‘দ্বীপান্তর’ বা দ্বীপচালান হল এক বিশেষ শাস্তি যাতে অপরাধীকে আন্দামানের সেলুলার জেলে পাঠানো হত। কবির মতে ভারতাত্মা ভারতীই এখন আন্দামানের কারাগারে বন্দী।

দ্বীপান্তরের বন্দিনী

বিভিন্ন রূপকের সাহায্যে কবি ব্রিটিশ ভারতের অন্যায়-অবিচারের ছবি তুলে ধরেছেন। একইসঙ্গে শৌখিন দেশভক্ত অর্থাৎ নরমপন্থী নেতাদের বিরুদ্ধেও কবি সমালোচনা করেছেন। এই সব নেতারা মাঝে মাঝে ভারতমাতার আরধনা করছে আর প্রচার করছে ভারত স্বাধীন হতে চলেছে। কবি মনে করেছেন এসবই বৃথা আয়োজন কারণ ভারত মায়ের দেড়শ বছরের নির্বাসন।

কবিতার শেষে কবিও আশা প্রকাশ করেছেন ভারতের ভাগ্যচক্রে হয়তো পরিবর্তন আসতে চলেছে। তবে কবি বিশ্বাস করেন যে আবেদন-নিবেদন করে ভারতের স্বাধীনতা আসবে না, আসবে সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে।

গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রশ্ন

এমসিকিউ টেস্ট

কবিতাটি যদি ভালো করে পড়া হয়ে গেছে তবে এই লিংকে ক্লিক করে এই কবিতার এমসিকিউ প্রশ্নের মক টেস্ট দিয়ে দাও। দেখো কত নাম্বার পাও।

বাড়ির কাছে আরশিনগর  পরের পাঠ- নুন

error: Content is protected !!