অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলাের কলঙ্ক

কবি সমর সেনের লেখা মহুয়ার দেশ

Mahuyar Desh by Samar Sen, WBCHSE class 12 Bengali (A) Poem question and answer for Higher Secondary Examination.

প্রশ্নঃ ‘অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলাের কলঙ্ক’ – এখানে কোন্ মানুষদের কথা বলা হয়েছে? তারা অবসন্ন কেন? ‘ধুলাের কলঙ্ক’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন। [১+২ +২]

উত্তরঃ নাগরিক কবি সমর সেনের লেখা ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতার উদ্ধৃত অংশে যে মানুষদের কথা বলা হয়েছে তারা হল মহুয়ার দেশের সাধারণ মানুষ। প্রকৃতির নিবিড় ছায়ায় লালিত এইসব মানুষদের শরীরে কবি ‘ধুলোর কলঙ্ক’ লক্ষ্য করেছেন।

মহুয়ার দেশ
মহুয়ার দেশ

নাগরিক জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কবি মহুয়ার দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। দেবদারুর ছায়ায় আবৃত মহুয়ার দেশে গিয়ে কবি নিষ্কলুষ প্রকৃতি এবং প্রকৃতির সন্তান বলে পরিচিত সেখানকার সাধারণ মানুষের সান্নিধ্য লাভ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছে কবি প্রত্যক্ষ করেন যে, সেখানকার মানুষজন শ্রান্ত, অবসন্ন। আসলে, কবির অজান্তেই, মহুয়ার দেশেও থাবা বসিয়েছিল যন্ত্রসভ্যতা এবং সহজ সরল মানুষগুলি যন্ত্রসভ্যতার দাসে পরিণত হয়েছিল। সারারাত হাড়ভাঙা পরিশ্রমের ফলেই তারা অবসন্ন হয়েছিল।

মহুয়ার দেশ একদিকে যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মন্ডিত এবং তেমনি প্রাকৃতিক সম্পদেও পরিপূর্ণ। সেখানে মাটির নিচে রয়েছে কয়লার বিশাল ভান্ডার। আর, মহুয়ার দেশের মানুষগুলো এখন কয়লা খনির শ্রমিক। কয়লা খননের কাজে যুক্ত থাকার ফলেই তাদের শরীরে আজ ধুলোর কলঙ্ক। তবে, এই ‘ধুলোর কলঙ্ক’ নিছকই ধুলোর কালিমা নয়। কবি যে কলুষতা থেকে বাঁচবার জন্য মহুয়ার দেশে যেতে চেয়েছিলেন, ধুলোর কলঙ্ক বলতে কবি যন্ত্রসভ্যতার সেই কলুষতাকেই বুঝিয়েছেন।

এই কবিতা থেকে অন্যান্য প্রশ্নোত্তরঃ

error: Content is protected !!