নানকার প্রথা

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের আমার বাংলা

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা “আমার বাংলা” গ্রন্থের ‘ছাতির বদলে হাতি’ শীর্ষক পরিচ্ছেদ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর|| WBCHSE Class 12 Bengali Rapid Reader “Amar Bangla” by Subhas Mukhopadhyay. Important question answers from Amar Bangla.

প্রশ্নঃ “..আর এক রকমের প্রথা আছে-নানকার প্রথা”-নানকার প্রজাদের অবস্থা কেমন ছিল? পরে তাদের অবস্থা কী পরিবর্তন হয়েছিল? [১+৪]

উত্তরঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের ‘ছাতির বদলে হাতি’ শীর্ষক পরিচ্ছদে ‘নানকার প্রথা’ নামক একটি অমানবিক প্রথার উল্লেখ রয়েছে।

আলোচ্য পরিচ্ছদে লেখক গারো পাহাড়ের নিচে বসবাসকারী মানুষদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেছেন। এই অঞ্চলে জমিদার-মহাজনদের অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে লেখক এক জায়গায় নানকার প্রথার উল্লেখ করেছেন।

নানকার প্রথাঃ লেখক বলেছেন, “নানকার প্রজাদের জমিতে কোন স্বত্ব ছিল না।” এমনকি, জমির আমকাঠালেও তাদের কোনো অধিকার ছিল না। নানকার প্রজাদের জমি দেওয়ার আগে জমি জরিপ করা হতো এবং জরিপের পর আড়াই টাকা পর্যন্ত খাজনা সাব্যস্ত হতো। প্রজারা সময়মতো খাজনা দিতে না পারলে তহশিলদার প্রজাদের কাছারিতে ধরে নিয়ে যেত, পিছমোড়া করে বেঁধে মারধর করতো এবং তারপর মালঘরে আটকে রাখত। খাজনা না দেওয়ার অপরাধে সব সম্পত্তি নিলামে খাস করে নেওয়া হতো। আর এই সুযোগে মহাজনেরা কর্জা ধানে এক মণে দু’মণ সুদ আদায় করে নিত।

অবস্থার পরিবর্তনঃ তবে, পরবর্তীকালে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। এই এলাকার ডালু চাষিরা জেগে উঠে এবং তারা বলে যে, জমিদারের খামারে ধান তুলবে না। পুলিশ-কাছারি করেও কোনো লাভ হয়নি। এইভাবে, শুধু যে জমিদারের অত্যাচার বন্ধ হয়েছিল তাই নয়, ভদ্র সমাজের কাছেও তারা তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু আদায় করতে সমর্থ হয়।

এই অধ্যায় থেকে অন্যান্য প্রশ্নোত্তরঃ

error: Content is protected !!