ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে সে

শ্রেণী একাদশ
ডাকাতের মা
বড় প্রশ্ন (মান-৫)

প্রশ্ন- “.. ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে সে”- কে ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে? ‘কলঙ্ক’ শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী?

উত্তর- সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখা ‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখীর মা তার ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছিল।

ডাকাতের মা
ডাকাতের মা

দীর্ঘদিন জেল খাটার পর সৌখী বাড়ি ফিরে এসেছে। ছেলেকে কাছে পেয়ে বুড়ির আনন্দের সীমা থাকে না। কিন্তু এই আনন্দের সঙ্গে সমান্তরালভাবে একটা দুশ্চিন্তা তাকে গ্রাস করছিল। জেলফেরত ছেলেকে সে সকালে কী খেতে দেবে এই চিন্তায় সৌখীর মায়ের ঘুম আসছিল না। শেষপর্যন্ত একটা উপায় সে বার করে ফেলে। জনৈক মাতাদীন পেশকারের বাড়ি থেকে একটি ঘটি চুরি করে এবং সেটি বাজারে বিক্রি করে ছেলের জন্য আলু-চচ্চড়ি ভাতের আয়োজন করেছিল। এমন সময় অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়িতে পুলিশ আসে। সৌখী এসব ঘটনার কিছুই জানতো না কারণ সে এতক্ষণ ঘুমাচ্ছিল। কিন্তু মাকে অপমানের হাত থেকে বাঁচাতে সৌখী বলে যে সে ঘটি চুরি করেছে। বিনা অপরাধে জেলে যেতে হয় সৌখীকে। আর এভাবেই নিজের অজান্তে ছেলেকে কালিমালিপ্ত করেছিল সৌখীর মা।

আসলে সৌখী তো কোনো সাধারণ চোর নয়- সে একজন ডাকাত। জেলে গিয়ে লাইফারদের সঙ্গে তার ওঠাবসা, কদু-চোরদের সাথে বাক্যালাপ পর্যন্ত করে না। অথচ তার মা সামান্য ঘটি চুরি করেছে এবং সেই অপরাধে তাকে জেলে যেতে হচ্ছে। তাই এই ঘটনাকে ‘কলঙ্ক’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

error: Content is protected !!