সুয়েজখালে হাঙ্গর শিকার

সুয়েজখালে হাঙ্গর শিকার

স্বামী বিবেকানন্দ

এই প্রবন্ধটি স্বামীজির ‘পরিব্রাজক’ গ্রন্থের অন্তর্গত। তখন বিশ্বজুড়ে প্লেগের ভয়ে সবাই আতঙ্কিত। স্বামীজি যে জাহাজে করে যাচ্ছিলেন সেটিকে সুয়েজ বন্দরে আটকে রাখা হয়েছিল কারণ যদি ভুলক্রমে জাহাজের লোক বন্দরে নামে বা বন্দরের লোক জাহাজে উঠে তাহলে প্লেগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা। আসলে কেউ তো জানেনা যে কার শরীরে প্লেগের জীবাণু বাসা বেঁধে আছে। তাই এই সতর্কতা। যাইহোক, এই অবসরে স্বামীজিও সুযোগ পেলেন সুয়েজ বন্দরের চারপাশের প্রকৃতিটা ভালো করে দেখে নেওয়ার।IMG_20160513_012557

পরদিন সকালে শোনা গেল জাহাজের পেছনে বড় বড় হাঙ্গর ঘুরে বেরাচ্ছে। কয়েকজন যাত্রী উদ্যোগী হয়ে হাঙ্গর শিকারের আয়োজন শুরু করল। একটা হাঙ্গর এল কিন্তু ধরা পড়ার আগেই পালিয়ে গেল। কিছুক্ষন পর আরেকটা হাঙ্গর এগিয়ে এল টোপের লোভে এবং ধরাও পড়ল। হাঙ্গর শিকারের দৃশ্য এবং তার আঁশটে গন্ধে স্বামীজি খাবার খেতে পারলেন না।

এরপর স্বামীজি সুয়েজ খালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বলেছেন। সেই প্রসঙ্গেই উঠে এসেছে ভারতের অতীত ঐতিহ্যের কথা এবং স্বামীজির প্রিয় ভারতের শ্রমজীবী মানুষের কথা। একসময় সারা পৃথিবীর যত উন্নত দেশ ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখত কারণ তাদের বহু সামগ্রী ভারত থেকে সরবরাহ করা হত।

বড় প্রশ্ন

শর্ট-এমসিকিউ

error: Content is protected !!