“হঠাৎ শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পেল”

ভারতীয় গল্প অলৌকিক

লেখক- কর্তার সিং দুগ্গাল

বড় প্রশ্ন (মান-৫)

প্রশ্ন- ‘হঠাৎ শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পেল। – তেষ্টা মেটানাের জন্য মর্দানাকে কী করতে হয়েছিল? তার তেষ্টা শেষ অবধি কীভাবে মিটেছিল? ৩+২ (২০২০)

উত্তর- কর্তার সিং দুগ্গালের ‘অলৌকিক’ গল্পে দেখা যায় গুরু নানকের অন্যতম সহচর মর্দানার প্রচন্ড জল তেষ্টা পেয়েছিল। সশিষ্য গুরু নানক তখন হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছেছেন। মার্দানার অবস্থা দেখে গুরু নানক ধ্যানে বসেন এবং চোখ খুলে তিনি বলেন যে ওই এলাকায় একমাত্র বলী কান্ধারীর আশ্রমের কুয়োতেই জল রয়েছে। গুরুর কথা শুনে মর্দানা তিনবার বলী কান্ধারীর আশ্রমে গিয়েছিল।

প্রথমবার মর্দানা গিয়ে বলী কান্ধারীকে বলেছিল যে সে পির নানকের সহচর। একথা শুনে বলী কান্ধারী তাকে জল না দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিল।

দ্বিতীয়বার গিয়ে মর্দানা বলেছিল যে সে নানক দরবেশের অনুচর। এবারেও বলী কান্ধারী তাকে জল দেয়নি।

তৃতীয়বারে মর্দানা বলী কান্ধারীর পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়েছিল। কিন্তু এবারেও বলী কান্ধারী মর্দানাকে গালিগালাজ দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিল।

এইভাবে মর্দানা তিনবার পাহাড়ের চুড়োতে গিয়েছিল কিন্তু জল না পেয়ে সে এসে গুরু নানকের পায়ের কাছে হতচেতন হয়ে পড়ে গেল। গুরু নানক তাকে অভয় দিয়ে সামনের একটা পাথর তুলতে বললেন। পাথর তুলতেই জলের ধারা দেখা গেল। এই জলেই মর্দানার তেষ্টা মিটেছিল।

error: Content is protected !!