চৈতন্য জীবনী সাহিত্য

একাদশ শ্রেণি

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ

বড় প্রশ্ন (মান-৫)

প্রশ্ন- চৈতন্যজীবনী সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। (৫)

উত্তর- চৈতন্যপূর্ব যুগে বাংলা সাহিত্যের প্রধান বিষয়বস্তু ছিল দেবদেবী অথবা কোনো কাল্পনিক বিষয়। শ্রীচৈতন্যদেবের মহৎ জীবনীকে অবলম্বন করেই বাংলা ভাষায় প্রথম জীবনী সাহিত্যের সূচনা ঘটেছিল।

তবে, মহাপ্রভুর জীবনী প্রথমে সংস্কৃত ভাষায় রচিত হয়েছিল। শ্রীচৈতন্যের বাল্যসাথী এবং পরবর্তীকালে চৈতন্যভক্ত মুরারি গুপ্ত রচনা করেছিলেন ‘শ্রীশ্রীকৃষ্ণচৈতন্যচরিতামৃতম’। চৈতন্যদেবের অনুচর শিবানন্দের পুত্র পরমানন্দ সেন কবি কর্ণপুর নামে খ্যাত ছিলেন। তিনি ২০০০ শ্লোকযুক্ত ‘চৈতন্য চরিতামৃত’ জীবনী মহাকাব্য রচনা করেছিলেন। এছাড়াও তাঁর লেখা ‘চৈতন্যচন্দ্রোদয়’ নাটকটিও চৈতন্য জীবনীমূলক। কাশীধামের জনৈক প্রবোধানন্দ সরস্বতী লিখেছিলেন ‘চৈতন্যচন্দ্রামৃতম’ নামক স্তোত্রকাব্য।

বাংলা ভাষায় রচিত আদিতম চৈতন্য-জীবনী সাহিত্য হল ‘চৈতন্যভাগবত’। কবির নাম বৃন্দাবন দাস। তাঁকে ‘চৈতন্যলীলার ব্যাস’ আখ্যা দেওয়া হয়।

কৃষ্ণদাস কবিরাজের লেখা ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থটি শ্রেষ্ঠ চৈতন্য-জীবনী সাহিত্য। এটিকে বৈষ্ণবতত্ত্বের আকরগ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জয়ানন্দের লেখা ‘চৈতন্যমঙ্গল’ গ্রন্থটিতে মহাপ্রভুর দেহত্যাগের বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ হয়েছে। লোচন দাসের লেখা ‘চৈতন্যমঙ্গল’ কাব্যটি মঙ্গলকাব্যের আদলে লেখা চৈতন্য জীবনীকাব্য।

error: Content is protected !!