বিতর্কমূলক রচনা লেখার টিপস্

দ্বাদশ শ্রেণী

বাংলা প্রবন্ধ প্রসঙ্গে

বিষয়- বিতর্কমূলক রচনা লেখার টিপস

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা রচনা
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা রচনা

বিতর্কমূলক রচনা- উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা প্রশ্নপত্রে যে চার ধরনের প্রবন্ধ দিয়ে থাকে তার মধ্যে একটি হল বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা। এই ধরনের প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে কোন একটি বিষয়ে মতের পক্ষে বা মতের বিপক্ষে একটি অনুচ্ছেদ দেওয়া থাকে। শিক্ষার্থীকে উক্ত অনুচ্ছেদে দেওয়া তথ্যের বিপরীত যুক্তি সাজিয়ে প্রবন্ধ রচনা করতে হয়। জাতীয় প্রবন্ধ রচনা করার জন্য শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনটি জিনিস কাম্য-

১) যুক্তিশীল মানসিকতা,
২) পাঠ্য বইয়ের বাইরে নানা বিষয়ে জ্ঞান,
৩) এবং অবশ্যই সৃজনশীলতা।

প্রশ্নপত্রে মতের পক্ষে বা বিপক্ষে যে অনুচ্ছেদটি থাকে সেখানে প্রশ্নকর্তা নিজের মতো করে কতকগুলি যুক্তি সাজিয়ে দেন। আপাতদৃষ্টিতে ওই যুক্তিগুলি ন্যায্য এবং বাস্তবসম্মত মনে হবে। কিন্তু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে বেশিরভাগ যুক্তির বিপক্ষে কিছু না কিছু যুক্তি দেওয়া যাবে। নিজের যুক্তিগুলি সাজিয়ে নিজের মতো করে প্রবন্ধটি লিখতে হবে।

নিজের যুক্তিগুলি গ্রহণযোগ্য করার জন্য পাঠ্যপুস্তকের বাইরে থেকে বা আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে কিছু উদাহরণ তুলে ধরতে হবে।

নিজের যুক্তিগুলি নিজের মতো করে গুছিয়ে লিখতে পারাটাই সৃজনশীলতা। অনেকের মধ্যেই এই ক্ষমতা থাকে।

কীভাবে লিখতে হয়?

১) প্রথমেই প্রশ্নপত্রে দেওয়া অনুচ্ছেদ টি দু-তিনবার ভালো করে খুঁটিয়ে পড়তে হয়।

২) অনুচ্ছেদের প্রায় প্রতিটি লাইনে বা প্রতিটি বাক্যে প্রশ্নকর্তা নিজের মত করে একটি যুক্তি সাজিয়ে দেন। একটু গভীরভাবে ভাবলে প্রতিটি যুক্তির বিপরীত যুক্তি পেয়ে যাবে।

৩) নিজের যুক্তিগুলি এক একটি ছোট ছোট অনুচ্ছেদে (Para) লিখতে শুরু করো। কখনোই সবকটা যুক্তি পরপর একটি অনুচ্ছেদেই লিখে দিও না। তোমার একটা যুক্তি যতখানি সম্প্রসারিত করতে পারে অর্থাৎ যতখানি বড় করে লিখতে পারো, একটিমাত্র অনুচ্ছেদে (Para) লিখবে।

৪) বিতর্কমূলক রচনার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর যুক্তিশীল মানসিকতা এবং লিখন- দক্ষতা- এই দুটি বিষয়ের পরীক্ষা করা হয়। তাই কোনো যুক্তি যেন ‘তর্কের খাতিরে তর্ক’ না হয়ে যায়। নিজের যুক্তিগুলি যেন বাস্তবসম্মত হয়।

একটি উদাহরণের সাহায্যে বির্তকমূলক প্রবন্ধ রচনার বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই।

প্রশ্ন- প্রতিপক্ষের যুক্তির অসারতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিক্রম বিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করাে।

বিতর্কের বিষয়: ‘দূরদর্শন মানবজীবনকে সমস্যা জর্জরিত করে তুলেছে’। (উঃ মাঃ ২০১৮)

মতের পক্ষে: দূরদর্শনের অপকারিতা নিয়ে আজ অনেকেই সােচ্চার। এটি মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে তুলেছে। নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আকর্ষণে বহু মানুষ এখন অনেকটা সময় দূরদর্শনের সামনে বসে কাটায়। ফলে তাদের নিত্যকর্মে বিঘ্ন ঘটে। এর আকর্ষণে শিক্ষার্থী ভুলে যায় পঠনপাঠনের কথা। মানুষ ভুলতে বসেছে সামাজিক আদান প্রদানের প্রয়ােজনীয়তা। এর কোনাে কোনাে অনুষ্ঠানে থাকে নৈতিক অধঃপতনের বীজ। বর্তমান সমাজেকিশাের অপরাধীর সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য অনেকেই দূরদর্শনকে দায়ী মনে করেন। তাই বলা যায় দূরদর্শন মানবজীবনে যতই আনন্দের আয়ােজন করেথাক, তার কুপ্রভাব কোনাে অংশে কম নয়।

উপরের অনুচ্ছেদটি ভালো করে দু-তিনবার পড়ো। টিভির অপকারিতা নিয়ে বলা হয়েছে। প্রশ্নকর্তা দূরদর্শনের বেশকিছু কুপ্রভাবের কথা তুলে ধরেছেন। কিন্তু আমরা সকলেই জানি টিভির যেমন কুপ্রভাব আছে তেমনি অনেক সুপ্রভাবও আছে। এবার আমি যেটা করব, অনুচ্ছেদের একেকটি লাইন ধরে আমি বিতর্কে যাব। দেখবো কোন যুক্তির বিরুদ্ধে আমার কী কী বলার আছে। আমি কিন্তু এখানে প্রবন্ধটির উত্তর দিইনি।  পরীক্ষায় এমনভাবে লিখলে নাম্বার পাবে না। শুধুমাত্র তোমাদের বোঝার সুবিধার জন্য প্রবন্ধটি প্রতিটি লাইন ধরে বিশ্লেষণ করছি। দেখা যাক মতের বিপক্ষে কী কী যুক্তি দেওয়া যায়।

প্রশ্নে আছে- দূরদর্শনের অপকারিতা নিয়ে আজ অনেকেই সােচ্চার।

এর বিপক্ষে আমার যেটা যুক্তি- বিজ্ঞানের অত্যাশ্চর্য আবিষ্কারগুলির একটি হল টেলিভিশন, বাংলায় যাকে আমরা বলি দুরদর্শন। আধুনিক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নিত্যসঙ্গী দুরদর্শন। বিজ্ঞানের প্রতিটি আবিষ্কারের কিছু ভালো দিক আছে আবার কিছু খারাপ দিকও আছে। দুরদর্শনও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে দুরদর্শনের প্রতি অতিরিক্ত দোষারোপ কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিছু তো ভালো দিক অবশ্যই আছে নাহলে দিন দিন কেন দুরদর্শনের চাহিদা এতো বাড়ছে?

প্রশ্নে আছে- এটি মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে তুলেছে।

এর বিপক্ষে আমার যেটা যুক্তি- এই কথাটি অবশ্যই ঠিক যে দূরদর্শন মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে তুলেছে। তবে দূরদর্শনের নেশার সঙ্গে মাদকদ্রব্যের নেশা একটা পার্থক্য রয়েছে। ড্রাগ, আফিম, অ্যালকোহল প্রভৃতির নেশা মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। কিন্তু দুরদর্শনের নেশা কেবলমাত্র বিশুদ্ধ বিনোদনের জন্য। মানুষ তো প্রকৃতিগতভাবে বিনোদনপ্রিয় প্রাণী। যখন টিভি ছিলনা তখন মানুষ যাত্রা-নাটক দেখত। কোন গ্রামে যাত্রার আসর বসলে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ সেখানে এসে ভিড় জমাতো। রবি ঠাকুরের ‘জীবনস্মৃতি’ পড়ে জানতে পারি যে তখনকার দিনে শিক্ষিত পরিবারের রমণীরা মাসিক পত্রিকার লেখাগুলি এতই মনযোগ সহকারে পড়তেন যে এক সংখ্যার পত্রিকা বাড়িতে আসার পরেই পরের সংখ্যার জন্য অপেক্ষা করে থাকতেন। সেও তো একরকমের নেশা। দূরদর্শনের নেশা তেমনি একটি ইতিবাচক নেশা।

প্রশ্নে আছে- নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আকর্ষণে বহু মানুষ এখন অনেকটা সময় দূরদর্শনের সামনে বসে কাটায়।

এর বিপক্ষে আমার যেটা যুক্তি- মানুষ যদি দুরদর্শনের সামনে বসে সময় কাটায় সেটা ভালো দিক বলেই মনে হয়। মানুষ এখন খুবই ব্যস্ত। কাছের মানুষকে সময় দেওয়ার মতো অতিরিক্ত সময় কারো নেই। টিভি আছে বলেই বাড়ির বয়স্করা সময় কাটানোর চিন্তা করেন না, একাকীত্ব বোধ করেন না। এখনকার ছোটো ছোটো পরিবারের গৃহবধূদের অবসর যাপনের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে দুরদর্শন। টিভি না থাকলে স্বামী-সন্তান অফিস-স্কুলে যাবার পর এইসব গৃহবধূরা কীভাবে নিঃশব্দ দিনযাপন করতো সেটা এখন কষ্টকল্পনা মাত্র।

প্রশ্নে আছে- ফলে তাদের নিত্যকর্মে বিঘ্ন ঘটে।

এর বিপক্ষে আমার যেটা যুক্তি- দূরদর্শনের জন্য মানুষের নিত্যকর্মে বিঘ্ন ঘটে এমনটা বললে নেহাতই মিথ্যে বলা হয়। টিভি তো এখন বিলাসের উপকরণ নয়, নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। দিনের আর পাঁচটা কাজের মতো দুরদর্শনের জন্যও অল্পসময় বরাদ্দ থাকে। যেমন, বাড়ি থেকে বেরোবার আগে অনেকেই টিভির খবরে চোখ রাখেন। আবার অনেকেই রাতে খাবার সময় রিয়েলিটি শো-এর মজা নেন।

প্রশ্নে আছে- এর আকর্ষণে শিক্ষার্থী ভুলে যায় পঠনপাঠনের কথা।

এর বিপক্ষে আমার যেটা যুক্তি- টিভি দেখলে নাকি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া হয়না। এটা খুবই সেকেলে ধারণা। দুরদর্শনের অনেক অনুষ্ঠান থাকে যেগুলি ছাত্রছাত্রীদের জন্য তৈরি করা হয়। অনেক চ্যানেল আছে যেগুলি থেকে অনেক নতুন জিনিস শেখা যায়। ডিসকভারি, এনিম্যাল প্ল্যানেট, হিস্ট্রি চ্যানেল, ডিডি সায়েন্স প্রভৃতি তথ্যভিত্তিক চ্যানেলগুলি দেখলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বাড়বে বলেই মনে হয়।

প্রশ্নে আছে- মানুষ ভুলতে বসেছে সামাজিক আদান প্রদানের প্রয়ােজনীয়তা।

এর বিপক্ষে আমার যেটা যুক্তি- একথা ঠিক যে যত দিন যাচ্ছে ততই আমরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছি। এখন মানুষের সামাজিক আদানপ্রদান অনেকটাই কমে গেছে। তবে এর জন্য দুরদর্শনকে অযথা দোষারোপ করার কোনো মানে হয় না। এখন প্রতিটি মানুষ অত্যন্ত ব্যস্ত। আত্মীয়-পরিচিতদের বাড়িতে গিয়ে দেখাসাক্ষাৎ করা তো দূরের কথা, রাস্তায় দাঁড়িয়ে দুটো কথা বলার সময় নেই কারো। এখন যেটুকু সামাজিকতা যেটুকু সৌজন্য সবটাই ফোনে হয়ে যায়। হয়তো এটাই সামাজিক আদানপ্রদানের আধুনিক নমুনা। বিশ্বায়নের প্রভাবে আমাদের পরিচিত জীবন-যাপনের অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। এসবের জন্য দূরদর্শনকে দায়ী করা উচিত নয়।

প্রশ্নে আছে- এর কোনাে কোনাে অনুষ্ঠানে থাকে নৈতিক অধঃপতনের বীজ।

এর বিপক্ষে আমার যেটা যুক্তি- অনেকে বলে থাকেন দুরদর্শনের কিছু অনুষ্ঠান সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য দায়ী। মানুষের নৈতিক অধঃপতনের জন্যও কিছু অনুষ্ঠানকে দায়ী করা হয়। কিন্তু ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। বর্তমানে পৃথিবীটা খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লোপ পাচ্ছে পুরাতন রীতি রেওয়াজ, নৈতিকতার নতুন নতুন সংজ্ঞা তৈরি হচ্ছে। দুরদর্শন সেই নতুনকে তুলে ধরছে মাত্র। তাই নৈতিক অধঃপতনের জন্য দুরদর্শনকে দায়ী করা যায় না। আর যারা টিভিতে অনৈতিক কার্যকলাপ দেখে অনৈতিক কাজে প্ররোচিত হয় তারা ভালো জিনিসগুলি থেকে শিক্ষা নেয় না কেন?

প্রশ্নে আছে- বর্তমান সমাজে কিশাের অপরাধীর সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য অনেকেই দূরদর্শনকে দায়ী মনে করেন।

এর বিপক্ষে আমার যেটা যুক্তি- একথা ঠিক যে বর্তমানে কিশোর অপরাধীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। শিশু-কিশোর বয়সটাই হল অনুকরণের বয়স। প্রায়শই খবরে শোনা যায় যে টিভিতে মারাত্মক বিপজ্জনক কোনো খেলা দেখে সেগুলি নিজে করতে গিয়ে কোনো কোনো বাচ্চা প্রাণ হারায়। কমবয়সী ছেলেমেয়েরা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত কোনো অনুষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের কার্যকলাপ অনুকরণ করে ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটিয়ে ফেলে, এমনটাও শোনা যায়। এই ধরণের ঘটনা কখনোই অভিপ্রেত নয়। আসলে, দুরদর্শনের সব অনুষ্ঠান তো সব বয়সের মানুষের জন্য নয়। কিছু অনুষ্ঠান থাকে যেগুলি কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। বাড়ির ছেলেমেয়েরা টিভিতে কোন অনুষ্ঠান দেখবে অভিভাবকদের সেব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত।

প্রশ্নে আছে- তাই বলা যায় দূরদর্শন মানবজীবনে যতই আনন্দের আয়ােজন করে থাক, তার কুপ্রভাব কোনাে অংশে কম নয়।

এর বিপক্ষে আমার যেটা যুক্তি- পরিশেষে বলা যায় যে বর্তমানে দুরদর্শন শুধুমাত্র মনোরঞ্জনের সামগ্রী নয়, সমাজ শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এখন টিভিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অনেক জিনিস প্রচার করা হয়। দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বৈজ্ঞানিক ধ্যানধারণার প্রসার করতে হলে বা কোনো বিষয়ে জনগণকে অবগত করতে চাইলে দুরদর্শনই একমাত্র উপায়। একশো তিরিশ কোটি মানুষের দেশ হল ভারত যেখানে প্রতিদিন কোনো না কোনো নতুন গুজবের জন্ম হয়। এইসব গুজবের মোকাবিলা করার একমাত্র উপায় হল টেলিভিশন। এখন যেহেতু দেশের অধিকাংশ মানুষ টিভি দেখে তাই কোনো বার্তা খুব সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। আর এসবই হল দুরদর্শনের সুপ্রভাব।

এখন আমি আমার মতের স্বপক্ষে যেসব যুক্তিগুলি পেলাম তাদের মধ্যে প্রথমটিকে ভূমিকা হিসেবে এবং শেষেরটিকে উপসংহার হিসেবে তুলে ধরতে পারি। বাকি যুক্তিগুলি একটু ব্যাখ্যা করে দুয়েকটা উদাহরণ দিয়ে ছোটো ছোটো প্যারা করে লিখলেই হয়ে গেল প্রবন্ধ।

সবশেষে বলি, উপরের অনুচ্ছেদ থেকে প্রতিটি লাইনের বিপক্ষে নিজের যুক্তি দিলাম। তোমরা হয়তো সব লাইন থেকে নিজের স্বপক্ষে যুক্তি না পেতে পারো। অথবা এমন কোনো বিষয় দিল যে তার বিপক্ষে বেশি বলার মতো তোমাদের তথ্য নেই। সেক্ষেত্রে অন্য রচনা করাই ভালো।

আরো একবার বলছি, আমি যেভাবে প্রশ্ন থেকে লাইন তুলে তার বিপক্ষে লিখলাম এটা শুধু তোমাদের বোঝানোর জন্য। পরীক্ষায় রচনা লিখলে একটানা উত্তরটাই কেবল লিখে যাবে, প্রশ্ন থেকে লাইন তুলে তুলে লেখা চলবে না। কীভাবে প্রশ্ন থেকে নিজের যুক্তি তৈরি করবে সেটা বোঝাবার জন্যই এতো লিখতে হল।

error: Content is protected !!