অসুখী একজন কবিতাটি আসলে পাবলো নেরুদার লেখা স্প্যানিশ কাব্যগ্রন্থ ‘Estravagario’-এর La Desdichada শীর্ষক কবিতাটি যেটি বাংলায় তরজমা করেছেন নবারুণ ভট্টাচার্য। মূল গ্রন্থের নাম ‘বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে’। আলোচ্য পোস্টে ‘অসুখী একজন‘ কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রশ্ন এবং অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
Asukhi Ekjon by Pablo Neruda
Asukhi Ekjon is the Bengali version of a Spanish poem La Desdichada written by Pablo Neruda and it is translated into Bengali by Nabarun Bhattacharya. It is included in the syllabus of West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class Ten Bengali (first language). For short and long question from this story, read this post carefully.
অসুখী একজন
পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের দশম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী মোট সাতটি কবিতা থেকে তিনটি ১ নম্বরের বহু বিকল্পীয় প্রশ্ন, চারটি ১ নম্বরের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, একটি ৩ নম্বরের সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং একটি ৫ নম্বরের রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। এখানে ‘অসুখী একজন‘ কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।
অসুখী একজনঃ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১. কবি কাকে অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে চলে গিয়েছিলেন?
উত্তর- কবি তার প্রিয়তমাকে অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে চলে গিয়েছিলেন।
২. ‘বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ’ – এর দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর- এর দ্বারা কবি সময়ের প্রবাহমানতাকে বুঝিয়েছেন।
৩. ‘তারপর যুদ্ধ এল’ – যুদ্ধ কেমনভাবে এসেছিল?
উত্তর- কবির বিবরণ অনুযায়ী, যুদ্ধ এসেছিল ‘রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতো’ বীভৎস রূপ নিয়ে।
৪. যুদ্ধের ফলে কাদের মৃত্যু হয়েছিল?
উত্তর- যুদ্ধের ফলে শিশু এবং বাড়িদের মৃত্যু হয়েছিল।
৫. “তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।’ – কারা স্বপ্ন দেখাতে পারল না?
উত্তর- শান্ত হলুদ দেবতারা আর স্বপ্ন দেখাতে পারল না।
৬. কবির মিষ্টি বাড়িটির পরিচয় দাও।
উত্তর- কবির সেই মিষ্টি বাড়ির বারান্দায় একটা ঝুলন্ত বিছানা ছিল, আর ছিল ছড়ানো করতলের মতো পাতাযুক্ত একটা গোলাপি গাছ, চিমনি এবং প্রাচীন জলতরঙ্গ।
৭. ‘সব চূর্ণ হয়ে গেল, – কী কী চূর্ণ হয়েছিল?
উত্তর- যুদ্ধের ফলে কবির সেই মিষ্টি বাড়ি এবং তার প্রিয় জিনিসগুলি যেমন, ঝুলন্ত বিছানা ছিল, ছড়ানো করতলের মতো পাতাযুক্ত একটা গোলাপি গাছ, চিমনি এবং প্রাচীন জলতরঙ্গ চুর্ণ হয়েছিল।
৮. ‘যেখানে ছিল শহর’ – সেখানে কী হয়েছিল?
উত্তর- যেখানে শহর ছিল, যুদ্ধের পরে সেখানে অবশিষ্ট ছিল কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা এবং রক্তের একটা কালো দাগ।
৯. ‘অসুখী একজন’ কবিতাটির কবির প্রকৃত নাম কী?
উত্তর- ‘অসুখী একজন’ কবিতাটির কবি পাবলো নেরুদা যার আসল নাম নেফতালি রিকার্ডো রেইয়েস বাসোয়ালতো।
১০. ‘শিশু আর বাড়িরা খুন হলাে’- ‘শিশু আর বাড়িরা’ খুন হয়েছিল কেন?
উত্তর- যুদ্ধের অনিবার্য ফল হিসেবে শিশু আর বাড়িরা খুন হয়েছিল।
অসুখী একজনঃ সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্ন
১) “সব চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে।” কোন্ কোন্ জিনিসের কথা বলা হয়েছে? এই পরিণতির কারণ কী? ১+২ [মাধ্যমিক ২০১৮]
উত্তর- পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় যেসব জিনিস আগুনে নষ্ট হয়েছিল সেগুলি হল- কথকের মিষ্টি বাড়ি, বারান্দায় থাকা ঝুলন্ত বিছানা, চিমনি, জলতরঙ্গ এবং সেই গোলাপি গাছ যার পাতাগুলি ছিল ছড়ানো করতলের মত।
এই পরিণতির কারণ ছিল একটি যুদ্ধ। কবির মতে, সেই যুদ্ধ ছিল ‘রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো’। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে যেমন বহু জনপদ ধ্বংস হয়ে যায় তেমনই সেই ভয়াবহ যুদ্ধের ফলে শহরের করুণ পরিণতি হয়েছিল।
২) “সে জানত না আমি আর কখনাে ফিরে আসব না।”- ‘সে’ কে? ‘আমি আর কখনাে ফিরে আসব না’ বলার কারণ কী? ১+২ [মাধ্যমিক ২০২০]
উত্তর- পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতার শুরুতেই একটি মেয়ের উল্লেখ রয়েছে। উদ্ধৃত অংশে ‘সে’ বলতে কথকের প্রিয় সেই নারীর কথা বলা হয়েছে।
আলোচ্য কবিতাটি স্পেনের গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত হয়েছিল। কবিতার কথক সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা না হলেও এটা অনুমান করা যায় যে তিনি একজন যোদ্ধা অথবা একজন বিপ্লবী। দেশের প্রয়োজনেই তাকে তার পরিবার তথা প্রেয়সীকে ছেড়ে যেতে হচ্ছে। যেহেতু যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সৈনিকের ফিরে আসার সম্ভাবনা কম থাকে, তাই কথক ফিরে না আসার বলেছেন।
৩) “তারপর যুদ্ধ এল”- যুদ্ধ কীভাবে এসেছিল? ফল কী হয়েছিল? ১+২
উত্তর- পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি একটি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত হয়েছে। কবির মতে, সেই যুদ্ধ এসেছিল ‘রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো’।
আগ্নেয়পাহাড় থেকে লাভা নিঃসরণের ফলে যেমন মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, কবিতায় উল্লেখিত যুদ্ধের প্রকৃতি ছিল তেমনি ভয়াবহ, তেমনি সর্বগ্রাসী। যুদ্ধের ফলে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, এমনকি শিশুরাও এর হাত থেকে রেহাই পায়নি। কথকের শহর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, যুদ্ধের ফলে শান্ত, হলুদ দেবতারাও ভূপাতিত হয়েছিল।
৪) “তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।” – কারা কী কারণে স্বপ্ন দেখতে পারল না? ১+২
উত্তর- পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় দেবতাদের সম্পর্কে একথা বলা হয়েছে। কবি বলেছেন তারা (অর্থাৎ, দেবতারা) আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।
শান্ত, হলুদ দেবতারা হাজার হাজার বছর ধরে ধ্যানে ডুবে ছিল। মানুষে মানুষে বিবাদ বাঁধলেও দেবতারা সবসময় নির্বিরোধ প্রকৃতির হয়। তাই সারাক্ষণ তারা স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকত। তারপর হঠাৎ একদিন শহরজুড়ে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠল। সেই সর্বগ্রাসী যুদ্ধের আগুনে বহু মানুষের মৃত্যু হল, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ল এবং দেবতারাও ভূপতিত হল। এইজন্য তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।
অসুখী একজনঃ রচনাধর্মী প্রশ্ন
১) “যেখানে ছিল শহর/ সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা।”- ‘অসুখী একজন’ কবিতা অবলম্বনে শহরের এই পরিণতি কীভাবে হল লেখাে। [মাধ্যমিক ২০১৭]
অথবা, ” তারপর যুদ্ধ এলো”- যুদ্ধ আসার আগের প্রেক্ষাপট এবং যুদ্ধের পরবর্তী অবস্থা কবিতা অনুসারে লেখো।
উত্তর- পাবলো নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত একটি অসাধারণ কবিতা। যুদ্ধকে বলা হয় মানবতার শত্রু। আলোচ্য কবিতাতে সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হয়েছে। যুদ্ধের নির্মম আঘাতে একটি প্রাণবন্ত শহর কীভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, কবি সেই কথাই তুলে ধরেছেন।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে শহরের অবস্থা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল। এক জায়গায় উল্লেখ আছে- “একটা কুকুর চলে গেল, হেঁটে গেল গির্জার এক নান”। আরেক জায়গায় বলা হয়েছে- “ঘাস জন্মাল রাস্তায়”। এইসব দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে শহরে শান্তিপূর্ণ নীরবতা বজায় ছিল। কিন্তু যুদ্ধের পরে চেনা শহরের ছবিটা পাল্টে গিয়েছিল।
কবি যুদ্ধটাকে রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে যেমন মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু পুড়ে ছারখার হয়ে যায়, তেমনি যুদ্ধের ফলে সমস্ত সমতলে আগুন ধরে গেল, বহু নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাল, এমনকি দেবতারাও টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ল মন্দির থেকে। আর, কথকের সেই মিষ্টি বাড়ি এবং তার প্রিয় জিনিসগুলি সব চূর্ণ হয়ে গেল। শহর জুড়ে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা এবং পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শহরের বুকে দগদগে ক্ষতের মতো ‘রক্তের একটা কালো দাগ’ এঁকে দিয়ে গেল।
২) ‘অসুখী একজন’ কবিতার নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।
উত্তর- চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদার লেখা একটি অনবদ্য কবিতা হল ‘অসুখী একজন’। স্প্যানিশ ভাষায় লিখিত কবিতাটির নাম ‘La Desdichada’। ইংরেজি অনুবাদে কবিতাটির নাম ছিল ‘Unhappy One’। কবিতাটি বাংলায় তরজমা করেছেন নবারুণ ভট্টাচার্য এবং বাংলায় নামকরণ করা হয়েছে ‘অসুখী একজন’। এখন প্রশ্ন হতে পারে এই নামকরণ কতখানি সার্থক হয়েছে?
আলোচ্য কবিতাটি জনৈক কথকের জবানিতে বিবৃত হয়েছে। কবিতার শুরুতেই একটি মেয়ের কথা বলা হয়েছে। সে কথকের প্রেয়সী। কথক তাকে অপেক্ষায় রেখে বহুদূরে চলে যায়। মেয়েটি জানতো না যে তার প্রিয়তম আর কোনোদিন ফিরবে না। তাই সে অপেক্ষা করতে থাকে। বহতা নদীর মতো সময় পেরিয়ে যায় এবং অপেক্ষারত মেয়েটির হৃদয় দুঃখে-বেদনায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। তারপর একদিন যুদ্ধ শুরু হয়। সমস্ত ঘরবাড়ি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, মন্দিরে স্থাপিত দেবমূর্তি ভূপতিত হয় এবং অসংখ্য নিরীহ মানুষ মারা যায়। কিন্তু সেই মেয়েটির মৃত্যু হয় না। শাশ্বত প্রেমের আলোকবর্তিকা নিয়ে বেঁচে থাকে সেই অপেক্ষারত মেয়েটি। অতএব বলা যায়, এই মেয়েটিই হল কবিতার প্রধান চরিত্র। তাকেই বলা হয়েছে অসুখী একজন এবং তার দুঃখের কথাই আলোচ্য কবিতার মূল উপজীব্য। এবার নামকরণ প্রসঙ্গে আসা যাক।
যেকোনো সাহিত্যিক রচনার নামকরণের বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নামকরণের কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি নেই। নামকরণ হতে পারে প্রধান চরিত্রকেন্দ্রিক, নাহয় প্রধান ঘটনাকেন্দ্রিক, নতুবা ব্যঞ্জনাধর্মী। আমাদের পাঠ্য ‘অসুখী একজন’ কবিতার নামকরণের ক্ষেত্রে প্রধান চরিত্রের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এবং এই নামকরণ সম্পূর্ণ সার্থক হয়েছে।
৩) “সেই মেয়েটির মৃত্যু হল না”- মেয়েটি কে? তার মৃত্যু না হওয়ার কারণ কী? ১+৪
অথবা, “শিশু আর বাড়িরা খুন হলো।/ সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না”- ‘শিশু আর বাড়িরা’ খুন হলো কেন? মেয়েটি কে? তার মৃত্যু না হওয়ার কারণ কী? ১+১+৩
উত্তর- চিলির কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় যে যুদ্ধের উল্লেখ রয়েছে, সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে শিশু এবং বাড়ির (অর্থাৎ, বাড়ির সকল লোকজন) মারা গিয়েছিল, কেবল একটি মেয়ের মৃত্যু হয়নি।
উদ্ধৃত অংশে উল্লেখিত ‘মেয়েটি’ হলো কথকের প্রিয় নারী।
কবিতার শুরুতেই দেখা যায় যে কথক তার প্রিয় নারীকে ছেড়ে বহুদূরে চলে যাচ্ছেন। এই কথক সম্পর্কে কবিতায় বিশেষ কিছু বলা হয়নি তবে অনুমান করা যায় যে তিনি একজন যোদ্ধা অথবা একজন বিপ্লবী। কর্তব্যের আহ্বানে তিনি তার প্রিয় মানুষকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তিনি নিজে জানতেন যে তার আর ফেরা হবে না কিন্তু সেই মেয়েটি তা জানত না। মেয়েটি তার প্রিয়জনের ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন গুনতে শুরু করে। দিন ফুরোয়, সপ্তাহ পার হয়ে বছর কেটে যায়। কিন্তু, মেয়েটির প্রতীক্ষার অবসান হয় না।
এদিকে, রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতো ভয়ঙ্কর যুদ্ধ নেমে আসে। সমস্ত সমতলে আগুন লেগে যায়। নিষ্পাপ শিশু এবং সাধারণ মানুষ খুন হয়। শান্ত, নিরীহ দেবতারাও যুদ্ধের করালগ্রাস থেকে বাঁচতে পারেনি। শহরের সব ঘরবাড়ি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। কিন্তু সেই মেয়েটির মৃত্যু হয় না। কারণ, এই মেয়েটি হলো শাশ্বত প্রেমের প্রতীক। যুদ্ধ আর সবকিছু ধ্বংস করতে পারলেও ভালোবাসার মৃত্যু হয় না। হিংসা বনাম প্রেমের লড়াইয়ে সবসময় প্রেমেরই জয় হয় এবং হিংসার পরাজয় ঘটে। তাই যুদ্ধের পরেও সেই মেয়েটির মৃত্যু হয়নি।