সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য

শ্রেণী একাদশ

বাংলা ভাষার ইতিহাস (বড় প্রশ্ন)

প্রশ্ন- সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্যগুলি কী কী?

উত্তর- বাংলা কথ্যভাষার যেমন পাঁচটি উপভাষা রয়েছে তেমনি লেখ্য বাংলার দুটি ভাগ আছে- পদ্য আর গদ্য। পড়বার সময় যখন ছন্দ মেনে পড়া হয়, তখন হয় পদ্য। আর যে লেখা পড়ার সময় ছন্দ মেনে পড়া হয়না তাকে বলে গদ্য। বাংলা গদ্যের ভাষা আবার দুরকম। যথা- সাধু আর চলিত। সাধু আর চলিত ভাষার পার্থক্যটি এইরকম-

    ১) সাধুভাষায় তৎসম অর্থাৎ সংস্কৃত শব্দ বেশি ব্যবহার করা হয়। চলিত ভাষায় তদ্ভব শব্দের সংখ্যাই বেশি। তাছাড়া চলিত ভাষায় বিদেশী শব্দের প্রয়োগ আনেক বেশি।

    ২) সাধুভাষায় সর্বনামের পুর্নরূপ ব্যবহার করা হয়। যেমন- তাহার, যাহার ইত্যাদি। কিন্তু চলিত ভাষায় সর্বনামের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করা হয়।যেমন- তার, যার ইত্যাদি।

৩) সাধুভাষায় ক্রিয়াপদের পুর্ণরূপ ব্যবহার করা হয় কিন্তু চলিতে সংক্ষিপ্ত রূপ দেখা যায়। যেমন- খাইতেছেন (সাধু), খাচ্ছেন(চলিত)।

৪) সাধুভাষায় বাক্যের পদবিন্যাস কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া। কিন্তু চলিত ভাষায় এই নিয়ম সবসময় মানা হয়না। যেমন- বইটা দাও তো আমাকে তুমি(চলিত)।

৫) সাধুভাষায় সমাসবদ্ধ পদের সংখ্যা বেশি কিন্তু চলিত ভাষায় অনেক কম।

পরের অংশ পরের পাতায়

Pages: 1 2

error: Content is protected !!