রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গুরু’ নাটক থেকে বড় প্রশ্ন
Class XI Bengali Drama “Guru” by Rabindranath Tagore || একাদশ শ্রেণির পাঠ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বাংলা নাটক “গুরু”। বড় প্রশ্ন (মান-৫)।
প্রশ্নঃ ‘গুরু’ নাটক অনুসরণ করে গুরুর স্বরূপ আলোচনা কর। ৫
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গুরু’ নাটকটি হল ‘অচলায়তন’ নাটকের অভিনয়যোগ্য সংস্করণ। নাটকটি চারটি দৃশ্যে বিভক্ত। প্রথম দৃশ্যে ‘গুরু আসছেন’- এই ভাবনা দিয়েই নাটকের শুরু। চতুর্থ দৃশ্যে গুরুর হাতে অচলায়তনের পতন ঘটে। অর্থাৎ, নাটকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মূল সুরটি হল গুরুর আগমন।
গুরুর স্বরূপ- এই নাটকে গুরু বলতে যাকে পাই তাঁর তিনটি স্বরূপ বর্তমান। অচলায়তনিকদের কাছে তিনি গুরু। তাদের কাছে সংস্কার, কঠোর নিয়মপালন আর গুরু সমার্থক। একথা শুনে পাঠক বা দর্শকদের মনে গুরু সম্পর্কে বীপরিত ধারণা তৈরি হবে। প্রকৃতপক্ষে, গুরু হলেন মুক্তপ্রাণের অগ্রদূত। সেইজন্য প্রাচীর ভেঙ্গে তিনি অচলায়তন এবং তার আবাসিকদের মুক্তি দেন।
দর্ভকদের কাছে তিনি গোঁসাইঠাকুর। তাদের সহজ ভক্তিতে তিনি সহজেই ধরা দেন। তাদের তৈরি খাদ্য সামগ্রী তিনি অনায়াসে খেতে পারেন। গুরুর এই রূপটি উদার এবং বাৎসল্যপূর্ণ।
যুনকদের নেতা হিসেবে গুরু হলেন কর্মচঞ্চলতার প্রতীক। আসলে, অচলায়তনিকরা যতখানি অচল যুনকরা ততখানি সচল। যুনকরা জানে না যে দাদাঠাকুরই হলেন গুরু, তারা জানতেও চায়না। শুষ্ক ধর্ম তাদের কাম্য নয়- কর্মই তাদের ধর্ম। যুনকদের এই কর্মযোগের প্রধান যোগী হলেন দাদাঠাকুর।
এছাড়াও নাটকে গুরুর আরেকটি রূপের সন্ধান পাই। অচলায়তনের বালকদের কাছে তিনি খেলার সাথী হয়ে বেশি আনন্দ অনুভব করেন। বালকদের তিনি বলেছিলেন- “ নইলে তোমাদের গুরু হয়ে সুখ কীসের?” (শব্দ-১৭৫)
গুরু নাটকের অন্যান্য প্রশ্নোত্তর