ধাঁধার বৈশিষ্ট্য

একাদশ শ্রেণী

সাহিত্যের ইতিহাস
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ
বড় প্রশ্ন (মান-৫)

প্রশ্ন- ধাঁধার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো ৷ অন্তত দুটি ধাঁধার উদাহরন দাও। ৩+২

উত্তর- লোকসাহিত্যের একটি অন্যতম অঙ্গ হল ধাঁধা। পৃথিবীর সকল দেশে সকল কালে ধাঁধার প্রচলন ছিল সেকথা আজ প্রমাণিত। সংস্কৃতে প্রহেলিকা, হিন্দিতে পহেলি এবং বাংলায় হেঁয়ালি বলতে যা বোঝায় তাই হলো ধাঁধা।

Bangla dhanda
বাংলা লোকসাহিত্যে ধাঁধা

ধাঁধার বৈশিষ্ট্য– সংক্ষেপে ধাঁধার বৈশিষ্ট্য গুলি হল এইরকম-
১) ধাঁধাগুলির রচয়িতা সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। কালের স্রোতে এদের রচয়িতার নামগুলি অজ্ঞাতপরিচয় রয়ে গেছে।
২) ধাঁধাগুলি আয়তনে সংক্ষিপ্ত হয়। আগে যেহেতু মৌখিক সাহিত্যের প্রচলন ছিল তাই মনে রাখার সুবিধার জন্য ধাঁধাগুলি দুচার লাইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো।
৩) ধাঁধার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর সরসতা। সরস বলেই সেগুলি বহু যুগ অতিক্রম করে এখনো সমান জনপ্রিয় আছে।
৪) প্রতিটি ধাঁধার মধ্যে একটি প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে যার উত্তর হয় পরিচিত কোন বস্তু, বিষয় বা মানুষ।
৫) ধাঁধার অপর একটি বৈশিষ্ট্য হল এর সার্বজনীনতা। ধাঁধা পৃথিবীর সকল দেশে সকল যুগে প্রচলিত ছিল এবং এখনো আছে।

দুটি ধাঁধার উদাহরণ-

১) সকাল বেলা চার পায়ে হাটে,
দুপুর বেলায় দুই পায়ে হাটে,
বিকাল বেলায় তিন পায়ে হেঁটে
দেশে চলেন বাবাজি। (উত্তর- মানুষ)

২) ঘর আছে দরজা নাই,
মানুষ আছে কথা নাই। (উত্তর- ডিম)

error: Content is protected !!