ভারতীয় গল্প অলৌকিক|| Aloukik by Kartar Singh Duggal
সূচিপত্র
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নতুন পাঠক্রমে দ্বাদশ শ্রেণিতে একটি ভারতীয় গল্প এবং একটি আন্তর্জাতিক কবিতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর ফলে তরুণ প্রজন্মের ছাত্রছাত্রী অন্যান্য ভাষার সাহিত্য-পাঠের আনন্দ এবং অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবে। এই উদ্যোগটি অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য ভারতীয় গল্পটি হল ‘অলৌকিক’।
লেখক পরিচিতি
কর্তার সিং দুগগাল (১৯১৭- ২০১২) ছিলেন পাঞ্জাবি ভাষার বিশিষ্ট লেখক। তবে পাঞ্জাবি ভাষা ছাড়াও তিনি হিন্দি, উর্দু এবং ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনা করেছেন। তাঁর লেখা ছোটোগল্প, কবিতা, উপন্যাস এবং নাটকগুলি ভারতীয় সাহিত্যের সম্পদবিশেষ। তিনি পদ্মভূষণ, সাহিত্য একাডেমী প্রভৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।
বিষয় সংক্ষেপ
এই গল্পের মধ্যে রয়েছে দুটি গল্প। একটি হল গুরু নানকের নিয়ে প্রচলিত গল্প আরেকটি ঐতিহাসিক ঘটনা। নীচের ভিডিওতে ‘অলৌকিক’ গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ লাইন সহ পুরো গল্পটি সবিস্তারে আলোচনা করা হল। মনোযোগ সহকারে দেখলে এবং শুনলে এই গল্প থেকে যেকোনো ছোটো ও বড় প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে।
প্রথম গল্পটি হল- গুরু নানক তার শিষ্যদের নিয়ে হাসান-আব্দালের জঙ্গল হয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় মর্দানা নামে এক শিষ্যের খুব জলতেষ্টা পেল। গুরুনানক গননা করে জানলেন এই এলাকায় একমাত্র বলি কান্ধারির আশ্রমে জল পাওয়া যাবে। পাহাড়ের চুড়ায় কান্ধারির আশ্রমে মর্দানা তিনবার গেল কিন্তু নানকের শিষ্য বলে কান্ধারি তাকে জল দিল না। এবার নানকের কথা মতো মর্দানা একটা পাথর সরাতেই জলের ঝরনা দেখা গেল। মর্দানার তেষ্টা মিটল কিন্তু তখন কান্ধারীর কুয়োতে তখন জল শেষ। রাগে হিংসায় কান্ধারী উপর থেকে একটা পাথরের চাঙড় গড়িয়ে দিল। নানকের শিষ্যেরা ভয় পেয়ে গেল কিন্তু নানক শান্তভাবে ‘জয় নিরঙ্কর’ বলে হাত দিয়ে পাথরের চাঙড়টা থামিয়ে দিল। এই ঘটনাটা এমনই অলৌকিক যে লেখকের বিশ্বাস হয়নি।
এর কিছুদিন পর লেখক তার মায়ের বান্ধবির মুখ থেকে একটা সত্য ঘটনা শুনেছিলেন। পাঞ্জাসাহেব শহরের উপর দিয়ে কয়েকশ স্বাধীনতা সংগ্রামীকে নিয়ে একটি ট্রেন যাবার কথা ছিল। সেই উপলক্ষ্যে আশেপাশের এলাকা থেকে বহু মানুষ লুচি-সবজি প্রভৃতি খাবার নিয়ে স্টেশনে এসে হাজির হয়েছিল। কিন্তু বলা হল ট্রেন থামানো হবেনা। তখন সাধারণ মানুষ মৃত্যুকে পরোয়া না করে রেললাইনে শুয়ে বুক দিয়ে ট্রেন থামিয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনাও অলৌকিক কিন্তু এর প্রমাণ আছে। দ্বিতীয় এই কাহিনীটি শোনার পর প্রথম গল্প সম্পর্কেও লেখকের মনে বিশ্বাস জন্মেছিল।
গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রশ্ন
- “হঠাৎ শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পেল”
- “অবাক-বিহ্বল বসে আছি”
- ‘অলৌকিক’ গল্পে হাত দিয়ে পাথরের…
- “চোখের জলটা তাদের জন্য।”
- “ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন…”
- “গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হল”
- “যারা পারে তাদের পক্ষে মোটেই
- ‘পাঞ্জাসাহেবে পৌঁছে এক আশ্চর্য ঘটনার কথা..
- “গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত”
এমসিকিউ টেস্ট
গল্পটি ভালোভাবে পড়া হয়ে গেলে এই লিংক থেকে MCQ Mock Test দিতে পারো। এই মক টেস্টটি বিগত বছরগুলিতে যে ধরণের প্রশ্ন এসেছে তেমনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দিয়ে সাজানো হয়েছে। তাহলে নিজেই নিজের পড়া যাচাই করে নাও।