রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গুরু’ নাটক থেকে বড় প্রশ্ন
Class XI Bengali Drama “Guru” by Rabindranath Tagore || একাদশ শ্রেণির পাঠ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বাংলা নাটক “গুরু”। বড় প্রশ্ন (মান-৫)।
প্রশ্নঃ“অচলায়তন এবার মন্ত্র ঘুচে গান আরম্ভ হবে”- কে একথা বলেছে? কথাটির তাৎপর্য কী? ১+৪
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘গুরু’ নাটকে পঞ্চক তার অগ্রজ মহাপঞ্চককে একথা বলেছিল।
অচলায়তন নাটকের শুরুতেই রয়েছে গুরুর আগমন-সম্ভাবনার কথা। কে যেন এসে বলে গেছে যে “গুরু আসছেন”। গুরুর আসাকে কেন্দ্র করে নানারকমের জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে অচলায়তনিকদের মধ্যে। আচার্য মনে করেছেন যে তাদের পাপের মাত্রা পূরণ হয়েছে বলেই গুরু আসছেন আর মহাপঞ্চক প্রমুখরা মনে করেছে যে তারা সমস্ত আচার নিষ্ঠাভরে পালন করেছে বলেই গুরু আসছেন। কিন্তু পঞ্চকের মনে হয়েছে যে গুরু আসছেন অচলায়তনের আচারসর্বস্ব জীবন থেকে মুক্তি দেবার জন্য।
বস্তুতপক্ষে, অচলায়তনের আবাসিকদের মধ্যে পঞ্চক একটি ব্যাতিক্রমি চরিত্র। পড়াশুনায় তার মন নেই, মন্ত্রগুলো সে বারবার ভুলে যায়। তার মন দ্বিধাগ্রস্ত- পুঁথিপাঠেই জীবনের সার্থকতা নাকি পুঁথিগুলো ছুঁড়ে ফেলে জীবনের স্বাদ পাওয়া সম্ভব? পঞ্চক মনেপ্রাণে চায় যে গুরু এসে তাকে রাস্তা দেখিয়ে যান। কিন্তু গুরুর আসার কথা শুনেই পঞ্চকের “মন্তরে কেবল ভুল হচ্ছে” আর সে আপন মনে গান গেয়ে উঠছে। তাই সে ধরে নিয়েছে যে গুরু এলে অচলায়তনে পুঁথির প্রয়োজন থাকবে না, জীবনের জয়গান ধ্বনিত হবে- অচলায়তনের বোবা পাথরগুলোতে প্রাণের প্রতিষ্ঠা হবে। (শব্দ- ১৬২)
গুরু নাটকের অন্যান্য প্রশ্নোত্তর