মহুয়ার দেশ
সূচিপত্র
কবিপরিচিতি
মহুয়ার দেশ কবিতাটি কবি সমর সেনের (১৯১৬ – ১৯৮৭) লেখা। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যিক দীনেশচন্দ্র সেনের পৌত্র। কবি কর্মসুত্রে ‘স্টেটসম্যান’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সমর সেনের কাব্য চর্চার সময়কাল মাত্র বারো বছর। এই সময়ের মধ্যে তিনি ৫ টি কাব্য রচনা করেন।
উৎস
‘মহুয়ার দেশ’ কবিতাটি কবির ‘কয়েকটি কবিতা’ (১৯৩৭) কাব্য সংকলন থেকে নেওয়া হয়েছে।
বিষয় সংক্ষেপ
কবি সমর সেনের একটি বিশিষ্ট কবিতা হল মহুয়ার দেশ। নীচের ভিডিওটিতে ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতার প্রতি লাইন ধরে আলোচনা করা হল। ভিডিওটি ভালোভাবে দেখলে এই কবিতা থেকে যেকোনো বড় প্রশ্ন, ছোটো প্রশ্ন এবং এমসিকিউ-এর উত্তর দেওয়া যাবে।
কবি সমর সেন নাগরিক কবি। নগরসভ্যতা মানুষকে অনেক সুখ এনে দেয় ঠিকই কিন্তু সেই সুখটাও বড্ড বেশি যান্ত্রিক। আর যেখানেই যন্ত্রসভ্যতা সেখানেই দূষণ। শহরের দমবন্ধকরা ধূসর বিকেলে নিজেকে খুব বেশি একা একা মনে হয়। তখন দূরের প্রকৃতি হাতছানি দেয়। কবিকেও হাতছানি দিয়ে ডেকেছিল সাঁওতাল পরগণার মহুয়া ঘেরা প্রান্তর- মহুয়ার দেশ। চারিদিকে সুদীর্ঘ গাছের ছায়া সেখানে এক অপরূপ রহস্যের সৃষ্টি করে। কবি গেলেন। কিন্তু কবির আশা পূর্ণ হল না। কারণ কবির সাধের মহুয়ার দেশেও যন্ত্রসভ্যতা হানা দিয়েছে। সেখানে গড়ে উঠেছে কয়লাখনি। রাতে কয়লাখনির বুককাঁপানো গভীর-বিশাল শব্দে কবির আশাভঙ্গ ঘটে। কবি অবাক হয়ে দেখেন যে সেখানকার আপনভোলা মানুষগুলিও এখন যন্ত্রসভ্যতার দাস।
শব্দার্থ
অলস সূর্য= অস্তাচলগামী ধীরগামী সূর্য, ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস= কলকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া, মেঘ-মদির= মেঘাচ্ছন্ন বা মেঘ দ্বারা সৌন্দর্যায়িত, মহুয়া= গাছ বিশেষ (মহুয়া গাছের ফুল থেকে এক ধরণের মদ প্রস্তুত হয়, তাকেও মহুয়া বলা হয়), মহুয়ার দেশ= যে অঞ্চলে মহুয়া গাছের প্রাচুর্য রয়েছে, দেবদারু= গাছবিশেষ, আলোড়িত করে= আন্দোলিত করে, কলঙ্ক= কালিমা।
বড় প্রশ্ন
- ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়…
- আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া..
- অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলাের কলঙ্ক
- মহুয়ার দেশের সৌন্দর্য
- এখানে অসহ্য নিবিড় অন্ধকারে…
- মহুয়ার দেশ কবিতায় কবির আশা ও আশাভ
কবিতাটি ভালোভাবে পড়া হয়ে গেলে এই লিংক থেকে MCQ Mock Test দিতে পারো। এই মক টেস্টটি বিগত বছরগুলিতে যে ধরণের প্রশ্ন এসেছে তেমনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দিয়ে সাজানো হয়েছে। তাহলে নিজেই নিজের পড়া যাচাই করে নাও।