বিশিষ্ট বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর লেখা গালিলিও প্রবন্ধ থেকে বড় প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্ন- ‘এবারে বিজ্ঞান সেবার প্রচুর অবসর মিললো’- কখন/ কীভাবে অবসর পাওয়া গেল? এই অবসরে তিনি কী কী করেছিলেন? (WBCHSE Class 11 Bengali Prose Galilo Descriptive Question and Answer)
গালিলিও|| সত্যেন্দ্রনাথ বসু
প্রশ্নঃ ‘এবারে বিজ্ঞান সেবার প্রচুর অবসর মিললো’- কখন/ কীভাবে অবসর পাওয়া গেল? এই অবসরে তিনি কী কী করেছিলেন? ২+৪
উত্তর- সত্যেন্দ্রনাথ বসুর লেখা ‘গালিলিও’ প্রবন্ধ থেকে গৃহিত প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে বিজ্ঞানী গালিলিও ফ্লোরেন্সে ফিরে আসার পর অনেক অবসর পেয়েছিলেন। তিনি যতদিন ভেনিসে ছিলেন ততদিন বিজ্ঞানচর্চার জন্য কোনো অবসর পাননি। ভেনিসে গনতন্ত্র ছিল। তাই বক্তৃতা দিয়েই তাঁকে উপার্জন করতে হত- বাড়তি অর্থ বা সময় সেখানে তিনি পেতেন না। ফ্লোরেন্সে রাজতন্ত্র ছিল। তাই সেখানে বিজ্ঞান চর্চার জন্য বৃত্তি এবং অবসর দুইই তিনি পেলেন।
ফ্লোরেন্সে গালিলিও বিজ্ঞান নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার অনেক সময় পেয়েছিলেন। এখানে জ্যোতিষের বিষয়ে তিনি অনেক নতুন কথা প্রচার করতে লাগলেন। তাঁর মতবাদে পণ্ডিতমহলে হৈচৈ বেঁধে গিয়েছিল। এমনকি সাধারণ মানুষের মধ্যে গালিলিওর মতবাদ বিশেষ সাড়া ফেলেছিল। আসলে তিনি তাঁর মতবাদগুলি লাতিন ভাষায় প্রচার করেননি, ইতালীয়ান ভাষায় পুস্তক আকারে প্রকাশ করেছিলেন। ফলে স্বাক্ষর মানুষ মাত্রই সেগুলি পড়ার সুযোগ পেয়েছিল। নিজের মতবাদ প্রচার ছাড়াও গালিলিও এই সময় অনেক নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি দূরবীনের সাহায্যে চাঁদের পর্বতমালা, বৃহস্পতির উপগ্রহ, সুর্যের কলঙ্ক ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করলেন। সৌরমণ্ডলের অনেক অজানা কথা তিনি জানতে পারলেন। কোপারনিকাসের মতবাদ তাঁর কাছে অভ্রান্ত বলে মনে হল। সেই সময় মানুষ টলেমীর মতবাদে বিশ্বাস করত। তাই কোপারনিকাসের মতকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি পুস্তকও লিখলেন। এসবের ফল হল এই যে সনাতনপন্থীরা তাঁর বিরুদ্ধতা করতে শুরু করেছিল।