৬) সাধুভাষায় বানানের ক্ষেত্রে শব্দের মূলরূপটি মেনে চলা হয়। কিন্তু চলিত ভাষায় তৎসম শব্দগুলির বানানও হ্রস্ব হয়ে যায়। যেমন- পাখি, রুপো ইত্যাদি(চলিত)।
৭) আবার চলিত ভাষায় মুখের ভাষার রূপটিই গ্রহণ করা হয়। যেমন- দ্যাখ(দেখ)।
বাংলা গদ্যের জন্মলগ্ন থেকে যারা গদ্য লিখতেন তারা সকলেই ছিলেন সংস্কৃতে পণ্ডিত। সেই জন্য তাদের লেখার ভাষা অনেক মার্জিত। তাদের হাতেই সাধুভাষার জন্ম এবং বিকাশ। পরে প্রমথ চৌধুরীর ‘সবুজপত্র’ পত্রিকাকে ঘিরে চলিতভাষা পাকা আসন লাভ করে। বর্তমানে চলিত ভাষাতেই গদ্যচর্চা হয়।