আমি দেখি
সূচিপত্র
কবি পরিচিতি
‘আমি দেখি’ কবিতাটি কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৩- ১৯৯৫) আধুনিক বাংলা কবিদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি হল- সোনার মাছি খুন করেছি, হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান, হে প্রেম হে নৈঃশব্দ্য, ধর্মে আছো জিরাফেও আছো প্রভৃতি। তিনি আনন্দ পুরস্কার, সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার সহ একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
উৎস
‘আমি দেখি’ কবিতাটি কবির অঙ্গুরী তোর হিরণ্যজল (১৯৮০) কাব্য সংকলন থেকে নেওয়া হয়েছে।
বিষয় সংক্ষেপ
‘আমি দেখি কবিতার মূল সুর হল কবির বৃক্ষপ্রীতি। কবি সবুজ ভালোবাসেন। কিন্তু মানুষ যতই একপা-একপা করে সভ্যতার দিকে পা বাড়িয়েছে ততই নির্যাতিত হয়েছে প্রকৃতি। গাছ কেটে শহর তৈরি করা হয়েছে আর তার ফলে শহরে দেখা দিয়েছে সবুজের সংকট। কবিতাটি ভালোভাবে বোঝার জন্য নীচের ভিডিওটি দেখা যেতে পারে। এই ভিডিওটি মনোযোগ সহকারে দেখলে এই কবিতা থেকে যেকোনো ছোটো প্রশ্ন, বড় প্রশ্ন এবং এমসিকিউ-এর উত্তর দেওয়া যাবে।
এই কবিতায় কবির বক্তব্য হল যেন শহরের বুকে এক চিলতে জমিতে বাগান গড়ে তোলা হয়। আর কিছু নয়, কবি গাছ দেখতে চান। ধূসর কংক্রিটে মোড়া শহরের বুকে আজ সত্যই সবুজের খুব প্রয়োজন। কবি সেই কথাটাই অকপটে স্বীকার করেছেন। শহরে মানুষের তুলনায় গাছের পরিমাণ একেবারেই কম। সেই জন্য বিভিন্ন রকম অসুখে ভুগতে হয় মানুষকে। গাছ লাগালে মানুষ আরোগ্য লাভ করতে পারবে এবং কবি নিজেও দুচোখ ভরে সবুজ দেখতে পারবেন।
শব্দার্থ
বাগান– উদ্যান, দরকার– প্রয়োজন, আরোগ্য– সুস্থ থাকা, জঙ্গল– অরণ্য, বন, হাঁ করে– মুখব্যাদান করে, অনটন– অভাব।
বড় প্রশ্ন
এমসিকিউ টেস্ট
কবিতাটি ভালোভাবে পড়া হয়ে গেলে এই লিংক থেকে MCQ Mock Test দিতে পারো। এই মক টেস্টটি বিগত বছরগুলিতে যে ধরণের প্রশ্ন এসেছে তেমনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দিয়ে সাজানো হয়েছে। তাহলে নিজেই নিজের পড়া যাচাই করে নাও।