শ্রেণী- একাদশ
নীলধ্বজের প্রতি জনা
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- “নীলধ্বজের প্রতি জনা” কবিতায় জনার ক্রুদ্ধ অভিমানী স্বর কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তর- মাইকেল মধুসূদন দত্তের “নীলধ্বজের প্রতি জনা” কবিতায় বীরাঙ্গনা জনা একজন সদ্য সন্তানহারা জননী। কিন্তু আলোচ্য কবিতায় জনার শোকালাপের থেকে ক্রুদ্ধ অভিমানী স্বর বেশি ফুটে উঠেছে।
জনার পুত্র প্রবীর যুদ্ধে নিহত হয়েছে- সে বীরোচিত কাজই করেছে। কিন্তু তার স্বামী নীলধ্বজ তার পুত্রের হত্যাকারী অর্জুনকে সিংহাসনে বসিয়ে রাজসভায় সংগীতের আয়োজন করেছেন। স্বামীর এরূপ আচরণে জনা বিস্মিত এবং ক্রুদ্ধ হয়েছেন।
নীলধ্বজের চোখে অর্জুন নরনারায়ণ হলেও জনার চোখে সে একজন কাপুরুষ। মহাভারতে বীর বলে খ্যাত হলেও অর্জুন ছলনার আশ্রয় নিয়ে দ্রোণাচার্য, ভীষ্ম, কর্ণ প্রমুখদের হত্যা করেছিল। শুধু তাই নয়, অর্জুনের কোন রাজোচিত বংশমর্যাদাও ছিল না। কিন্তু রাজা নীলধ্বজের হয়তো জ্ঞান লোপ পেয়েছে তাই পুত্র হত্যার প্রতিশোধ না নিয়ে তিনি অর্জুনের তোষামোদ করছেন। এ অন্যায় জনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি।
জনা ক্রোধিতা হলেও প্রতিবাদ করার কোনো উপায় তার ছিলনা কারণ সে অন্তঃপুরবাসিনী রাজবধূ। তাই অভিমানী জনা স্বামীর কাছে চিরবিদায় নিয়ে আত্মবিসর্জনের পথ বেছে নিয়েছিলেন।