বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস || একাদশ শ্রেণী
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ। বাংলা নাট্যসাহিত্যে মাইকেল মধুসূদন দত্তের অবদান। একাদশ শ্রেণির বাংলা।
প্রশ্নঃ মাইকেল মধুসূদন দত্তের দুটি নাটকের নাম কর। নাট্যকার হিসেবে তাঁর কৃতিত্বের পরিচয় দাও। ১+৪
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা দুটি নাটক হল- শর্মিষ্ঠা এবং পদ্মাবতী।
বেলগাছিয়া রঙ্গমঞ্চে রামনারায়ণ তর্করত্নের ‘রত্নাবলী’ নাটকের অভিনয় দেখতে গিয়ে মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে যথার্থ নাটকের অভাব অনুভব করেছিলেন। সংস্কৃতানুগ বাংলা নাটকের মুক্তির জন্য তিনি নিজে নাটক রচনা করবেন মনস্থির করেন। বিষয়বস্তু আহরণের জন্য তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির গ্রন্থাগার থেকে কয়েকটি সংস্কৃত ও বাংলা গ্রন্থ আনেন। এরপরেই লেখেন তাঁর প্রথম নাটক ‘শর্মিষ্ঠা’(১৮৫৯)। তারপর একে একে রচনা করেন ‘পদ্মাবতী’ (১৮৬০) ও ‘কৃষ্ণকুমারী’(১৮৬১) নাটক এবং দুটি প্রহসন- ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো’ (১৮৬০)।
নাট্যকার হিসেবে মধুসূদন দত্তের কৃতিত্ব
১) বাংলা নাটকে তিনিই প্রথম সংস্কৃত রীতি পরিহার করে ইউরোপীয় রীতি প্রবর্তন করেন। প্রকৃতপক্ষে, তাঁর হাত ধরেই বাংলা সাহিত্যে আধুনিক নাটকের সূত্রপাত ঘটেছিল।
২) তাঁর কৃষ্ণকুমারী নাটকটি একটি সার্থক ঐতিহাসিক নাটক এবং একইসঙ্গে প্রথম বাংলা ঐতিহাসিক ট্রাজেডি।
৩) নাট্যকার হিসেবে মধুসূদন দত্ত সমাজ এবং সমকালের প্রতি দায়বদ্ধ ছিলেন। তাই দেখা যায়, তাঁর রচিত প্রহসন দুটিতে সমকালীন সামাজিক অসঙ্গতির প্রতি চরম ব্যাঙ্গের আঘাত হানা হয়েছে।
সাহিত্যের আধুনিক যুগঃ অন্যান্য প্রশ্নোত্তর