ভাষার রূপতত্ত্ব অনুযায়ী শ্রেণীকরণ

একাদশ শ্রেণী

বিশ্বের ভাষা পরিবার

বড় প্রশ্ন (মান-৫)

প্রশ্ন- ভাষার রূপতত্ত্ব বা আকৃতি অনুযায়ী শ্রেনীবিভাগ করার পদ্ধতিগত সুবিধা কী? এই পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো। ২+৩

উত্তর- ভাষাতাত্ত্বিকগণ পৃথিবীতে প্রচলিত ভাষাগুলিকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে শ্রেণীবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। তেমনি একটি পদ্ধতি হলো রূপতত্ত্ব বা আকৃতি অনুযায়ী ভাষার শ্রেণীবিভাগ।

এই পদ্ধতির প্রধান সুবিধা হল এই যে, ভাষার সাংগঠনিক অবয়বটি স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। এর ফলে, নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে পৃথিবীর সকল ভাষাকে বর্গীভূত করা সম্ভব হয়। ভাষার রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ অনেক বিজ্ঞানসম্মত।

রূপতত্ত্ব অনুযায়ী ভাষার শ্রেণীবিভাগ

রূপতত্ত্ব অনুযায়ী ভাষার শ্রেণীবিভাগ
রূপতত্ত্ব অনুযায়ী ভাষার শ্রেণীবিভাগ

এই পদ্ধতি অনুযায়ী ভাষাগুলিকে দুইটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়ে থাকে, যথা-

১) অসমবায়ী ভাষা- যে সকল ভাষাতে বিভক্তি, প্রত্যয়, উপসর্গ প্রভৃতির আলাদা কোনো অস্তিত্ব থাকে না এবং বাক্যের মধ্যে শব্দের অবস্থান দেখে তার ভূমিকা নির্ধারিত হয়, সেইসব ভাষাকে অসমবায়ী ভাষা বলে। যেমন- চিনা ভাষা।

২) সমবায়ী ভাষা- এই শ্রেণীর ভাষাগুলিতে পদগঠনে বিভক্তি, প্রত্যয়, উপসর্গের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সমবায়ী ভাষা মূলত তিন রকম-

পরের পাতায়

Pages: 1 2

error: Content is protected !!