বাংলা ভাষাবিজ্ঞানঃ রূপতত্ত্ব
দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য বাংলা ভাষাবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় রূপতত্ত্ব (Ruptattwa)। আলোচ্য পোস্টে রূপতত্ত্ব অধ্যায় থেকে নিষ্পাদক রূপমূল এবং সমন্বয়ী রূপমূল সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
প্রশ্ন- সমন্বয়ী রূপমূল এবং নিষ্পাদক রূপমূল বলতে কী বোঝো? উদাহরণসহ আলোচনা কর।
উত্তরঃ রূপতত্ত্ব অনুযায়ী রূপমূল প্রধানত দু’রকমের-
এক) স্বাধীন রূপমূল,
দুই) পরাধীন রূপমূল
এই দুই প্রকার রূপমূলকেই আবার আভিধানিক এবং ব্যাকরণসম্মত – এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এইভাবে রূপমূলকে চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়, যথা- ১) স্বাধীন আভিধানিক, ২) স্বাধীন ব্যাকরণসম্মত, ৩) পরাধীন আভিধানিক এবং ৪) পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূল।
পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূলকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- সমন্বয়ী রূপমূল এবং নিষ্পাদক রূপমূল।
সমন্বয়ী রূপমূল- সাধারণত বিভক্তিকে বলা হয় সমন্বয়ী রূপমূল। কোনো শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হলে এমনভাবে মিশে যায় যে আর সেটিকে পৃথক করা যায় না এবং একবার বিভক্তি ব্যবহৃত হলে তারপরে আর কোনো রূপ বসতে পারেনা। এজন্য বিভক্তিকে সমন্বয়ী রূপমূল বলে। যেমন- ‘রাম’ শব্দটির সঙ্গে ‘এর’ বিভক্তি যোগ করলে হয় ‘রামের’, কিন্তু ‘রামের’ শব্দটির সঙ্গে আর কোনো বিভক্তি যোগ হবে না।
নিষ্পাদক রূপমূল– উপসর্গ এবং প্রত্যয় অন্য পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন পদ গঠন করে, এইজন্য এদেরকে বলা হয় নিষ্পাদক রূপমূল।
যেমন- প্ৰ (উপসর্গ) + শান্ত (পদ)= প্রশান্ত (নতুন পদ)
শ্রী (পদ)+ মান (প্রত্যয়)= শ্রীমান (নতুন পদ)।
এই অধ্যায় থেকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নঃ