বাংলা ভাষাবিজ্ঞানঃ রূপতত্ত্ব
এর আগে আমরা বাংলা ব্যাকরণে সমাস সম্পর্কে জেনেছি। রূপতত্ত্বে সমাসের ধারণাটা একটু অন্যরকম। আলোচ্য পোস্টে রূপতত্ত্ব অনুযায়ী সমাসের শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে জানব।
প্রশ্নঃ রূপতত্ত্ব অনুযায়ী সমাস কয় প্রকার ও কী কী? সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তরঃ বাংলা ব্যাকরণের সমাস বিষয়টি ভাষাবিজ্ঞানের রূপতত্ত্ব শাখাটির অন্তর্গত। প্রচলিত বাংলা ব্যাকরণে সমাস সাত বা আট প্রকারের হলেও রূপতত্ত্ব অনুযায়ী সমাস তিন প্রকার। সেগুলি হল-
![সমাসের প্রকারভেদ](https://i0.wp.com/banglasir.com/wp-content/uploads/2018/11/IMG_20181109_231116-300x195.jpg?resize=300%2C195)
১) দ্বন্দ্ব সমাস– যে সমাসে দুই বা তার বেশি পদ পাশাপাশি বসে একটি নতুন পদ গঠন করে এবং যে পদ গুলি নতুন পদটি গঠন করল তাদের নিজস্ব অর্থ বজায় থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন, ছেলে-মেয়ে, রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ ইত্যাদি।
২) ব্যাখ্যানমূলক সমাস– যে সমাসে পাশাপাশি বসা দুটি পদের প্রথমটি দ্বিতীয়টিকে ব্যাখ্যা করে তাকে ব্যাখ্যানমূলক সমাস বলে। যেমন- শ্বেতপদ্ম, মহারাজা, বিদ্যালয় ইত্যাদি। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে, প্রচলিত বাংলা ব্যাকরণের তৎপুরুষ, কর্মধারয়, দ্বিগু সমাস ব্যাখ্যানমূলক সমাসের অন্তর্ভুক্ত।
৩) বর্ণনামূলক সমাস– যে সমাসে সমাসজাত নতুন পদটি সমাস-গঠনকারী পদগুলির অর্থকে না বুঝিয়ে নতুন কোন অর্থ বোঝায়, তাকে বর্ণনামূলক সমাস বলে। প্রচলিত বাংলা ব্যাকরণের বহুব্রীহি সমাসকেই বর্ণনামূলক সমাস বলা হয়। উদাহরণ- দশানন, দিগম্বর ইত্যাদি।
এই অধ্যায় থেকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নঃ