একাদশ শ্রেণির নতুন পাঠ্যসূচিতে প্রথম সেমিস্টারে একটি গল্প অন্তর্ভুক্ত হয়েছে- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গল্প ‘পুঁইমাচা’।
পাঠ্য প্রবন্ধ: | পুঁইমাচা |
রচয়িতা: | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় |
মূল গ্রন্থ: | মেঘমল্লার |
প্রথম প্রকাশ: | ১৩৩১ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রবাসী পত্রিকায় |
গ্রন্থাকারে: | ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ। |
পুঁইমাচা || Puimacha by Bibhuti Bhushan Bandyopadhyay
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুঁইমাচা’ গল্পে গ্রামবাংলার এক অসহায়, দরিদ্র পরিবারের কাহিনি চিত্রিত হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র ক্ষেন্তি, বছর চোদ্দ-পনেরোর এক কিশোরী। সে খেতে খুব ভালোবাসে। পুঁইশাকের প্রতি তার অতিরিক্ত দুর্বলতা। গল্পের নামকরণে সেই নির্যাস রয়েছে।
পুঁইমাচা: সারসংক্ষেপ
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘পুঁইমাচা’ গল্পটি যে সময়ের, তখন সমাজে বাল্যবিবাহ প্রচলিত ছিল। আর ছিল যৌতুক প্রথা।
দরিদ্র ব্রাহ্মণ সহায়হরি চাটুজ্জে সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ। তবে, তার স্ত্রী অন্নপূর্ণা একজন নৈতিকতাপূর্ণ, বাস্তববোধসম্পন্ন নারী।
তাদের তিন মেয়ে। বড় মেয়ে ক্ষেন্তির বয়স ১৫ পেরিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে তার একবার বিয়ের সম্বন্ধ পাকা হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু পাত্র দুশ্চরিত্র জেনে সহায়হরি মেয়ের বিয়ে দেয়নি। তবে, এবার তার বিয়ে না দিলে সহায়হরিকে একঘরে হতে হবে।
ক্ষেন্তি পুঁইশাক খেতে খুব ভালবাসত। তাদের উঠোনে সে পুঁই শাক লাগিয়েছিল। তবে সেই পুঁইশাক খাওয়ার আগেই তার বিয়ে হয়ে যায়। যৌতুকের কিছু টাকা বাকি থাকায় ক্ষেন্তিকে বাপের বাড়ি আসতে দেওয়া হয় না। সেই বছরই বসন্ত রোগে সে মারা যায়।
এদিকে, তার বাপের বাড়িতে রয়ে যায় তার সেই পুঁইমাচা, যা তার বাবা, মা এবং বোনদের কাছে ক্ষেন্তিরই প্রতিরূপ।
পুঁইমাচা: বহু বিকল্পভিত্তিক (MCQ) প্রশ্নোত্তর
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নতুন পাঠ্যসূচি (২০২৪) অনুযায়ী একাদশ শ্রেণীর প্রথম সেমিস্টারে কেবল বহু বিকল্পধর্মী প্রশ্ন (বা এমসিকিউ) থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে, ‘পুঁইমাচা’ গল্প থেকে শীঘ্রই এমসিকিউ মক টেস্ট দেওয়া হবে।