মূল ভাগবতের তত্ত্বগত জটিলতা পরিহার করে কবি কাহিনির উপর আলোকপাত করেছেন। অবশ্য তৎকালীন বাঙালি সমাজের প্রেক্ষিতে এমনটাই কাম্য ছিল।
মূল ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণের ঐশ্বর্যভাব প্রকাশ পেলেও মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ গ্রন্থে কৃষ্ণের মধুর-কান্তা ভাবটিই ফুটে উঠেছে।
পরিশেষে বলা যায়, ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ সংস্কৃত ভাগবতের বাংলা অনুবাদ হলেও কবির স্বকীয়তায় উজ্জ্বল। চৈতন্য-পরবর্তী কালের অনেক কবি ভাগবত অনুবাদে প্রয়াসী হয়েছিলেন, মালাধর বসু ছিলেন তাঁদের পথপ্রদর্শক।