‘গুরু’ নাটকে মহাপঞ্চকের চরিত্র

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গুরু’ নাটক থেকে বড় প্রশ্ন

Class XI Bengali Drama “Guru” by Rabindranath Tagore || একাদশ শ্রেণির পাঠ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বাংলা নাটক “গুরু”। বড় প্রশ্ন (মান-৫)।

প্রশ্নঃ গুরু নাটকে মহাপঞ্চকের চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর।

গুরু নাটক

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গুরু’ নাটকের একটি অন্যতম চরিত্র হল মহাপঞ্চক।  সে অচলায়তনের একজন নিষ্ঠাবান আশ্রমিক। রাজা মন্থরগুপ্ত তাকেই অচলায়তনের পরবর্তী আচার্য নির্বাচন করেছিলেন। মহাপঞ্চকের চরিত্রের প্রধান দিকগুলি হল- 

১। পাণ্ডিত্য– পুঁথিগত বিদ্যায় মহাপঞ্চক ছিল অদ্বিতীয়। সে শাস্ত্রজ্ঞানী পণ্ডিত। অচলায়তনের প্রতিটি মন্ত্র, বিধান, প্রতিবিধান তার নখদর্পণে ছিল। সুভদ্রের শাস্তির বিধান সেই বলেছিল।

২। আচারসর্বস্ব– হাজার রকমের অন্ধ সংস্কার, প্রথা অচলায়তনের পথ রোধ করে রেখেছিল। আর এই সকল প্রথার প্রতি মহাপঞ্চকের একান্ত সমর্থন ছিল। তার কাছে নিয়ম-নিষ্ঠাই আসল, মানুষের প্রান ছিল গৌণ। প্রাণের প্রকাশ যে গান সেই গানও তার কাছে অসহ্য। 

৩। অহঙ্কারী– বিদ্যা মানুষকে বিনয়ী করে তোলে। কিন্তু মহাপঞ্চকের ক্ষেত্রে উল্টোটাই হয়েছিল। আয়তনের নিয়ম ভঙ্গ হচ্ছিল বলে সে আচার্য অদীনপূণ্যকে মারতে উদ্যত হয়েছিল। আবার নাটকের শেষ দৃশ্যে দেখা যায় যে, গুরুর সঙ্গেও তার আচরন ছিল উদ্ধত। পাণ্ডিত্যের অহঙ্কারে অন্ধ হয়ে সে নিজের ভাইকেও নির্বাসনে পাঠিয়েছিল।

৪। দৃঢ়তা– মহাপঞ্চক চরিত্রের একমাত্র ইতিবাচক দিকটি হল তার চারিত্রিক দৃঢ়তা। নাটকের শেষে সবাই দাদাঠাকুরকে গুরু বলে মেনে নিয়েছিল। গুরুর কাছে সকলেই আত্মসমর্পণ করেছিল। একমাত্র মহাপঞ্চকই শেষ পর্যন্ত নিজের আদর্শে অবিচল থেকেছে। মৃত্যুভয়ও তাকে টলাতে পারেনি। (শব্দসংখ্যা-১৬৫)

গুরু নাটকের অন্যান্য প্রশ্নোত্তর

error: Content is protected !!