বাংলা গানের ধারায় কিশোর কুমার

বাংলা গানের ধারা

WBCHSE Class 12 (Twelve) Bengali- Bangla Ganer Dhara Long Question || উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস- বাংলা গানের ধারা অধ্যায় থেকে বড় প্রশ্ন। প্রশ্নের বিষয়- বাংলা গানের জগতে কিশোর কুমারের অবদান।

প্রশ্ন- বাংলা গানের ধারায় কিশোর কুমারের অবদান আলোচনা করো। ৫

উত্তর– বাংলা তথা ভারতীয় সঙ্গীতের ইতিহাসে এক উজ্জ্বলতম জ্যোতিষ্ক হলেন কিশোর কুমার (১৯২৯ – ১৯৮৭)। তিনি ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং রেকর্ড প্রযোজক। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বাধিক সফল এবং সর্বকালের সেরা নেপথ্য গায়ক হিসেবে বিবেচিত হন। 

কিশোর কুমার



১৯২৯ সালের চৌঠা আগস্ট মধ্যপ্রদেশের এক বাঙালি পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল আভাস কুমার গঙ্গোপাধ্যায়।

তাঁর দাদা অশোক কুমার বোম্বের একজন সফল অভিনেতা ছিলেন। অভিনয়ে কিশোর কুমারের কোনো আগ্রহ ছিল না, তিনি বরাবর গান গাইতেই চাইতেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গীতের প্রথাগত প্রশিক্ষণ ছিল না। প্রথম জীবনে তিনি কে এল সায়গলকে অনুকরণ করতেন। পরে, বিখ্যাত সুরকার শচীনদেব বর্মনের পরামর্শে তিনি তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে গান গাওয়া শুরু করেন।

১৯৪৮ সালে ‘জিদ্দি’ ছবির মাধ্যমে তিনি নেপথ্য গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে ষাটের দশক থেকেই তিনি গায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং সত্তরের দশকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে যান।

তিনি বাংলা, হিন্দি, ভোজপুরি, অসমিয়া-সহ অনেকগুলি ভারতীয় ভাষায় মোট ২০০০-এরও বেশি গান গেয়েছেন। সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তিনি ৮ বার ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তবে, শিল্পী হিসেবে কিশোর কুমারের সবথেকে বড় প্রাপ্তি হল তার বিপুল জনপ্রিয়তা, যে কারণে তিনি সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সঙ্গীতের প্রথাগত প্রশিক্ষণ না থাকা স্বত্বেও তিনি যে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, তা সত্যিই বিস্ময়কর।

এই অধ্যায় থেকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

error: Content is protected !!