জােতদার-তালুকদারের শাসন

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের আমার বাংলা

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা “আমার বাংলা” গ্রন্থের ‘ছাতির বদলে হাতি’ শীর্ষক পরিচ্ছেদ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর|| WBCHSE Class 12 Bengali Rapid Reader “Amar Bangla” by Subhas Mukhopadhyay. Important question answers from Amar Bangla.

প্রশ্নঃ “ছিল জােতদার আর তালুকদারের নিরঙ্কুশ শাসন”- শাসন সম্পর্কে লেখক কী জানিয়েছেন তা নিজেয় ভাষায় লেখো। [৫]

উত্তরঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের ‘ছাতির বদলে হাতি’ শীর্ষক পরিচ্ছদে ‘জােতদার আর তালুকদারের নিরঙ্কুশ শাসন’ সম্পর্কে জানা যায়।

আলোচ্য পরিচ্ছদে লেখক গারো পাহাড়ের নিচে বসবাসকারী মানুষদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেছেন। এই অঞ্চলে জমিদার-মহাজনদের অত্যাচার ছিল অসহনীয়। একদিকে জমিদারের খাজনা দিতে গিয়ে প্রজারা সর্বস্বান্ত হতো, আরেকদিকে, ধূর্ত মহাজন ছাতির বদলে হাতি আদায় করে নিত। এইসব কথা বলতে গিয়ে লেখক এক জায়গায় জােতদার আর তালুকদারের নিরঙ্কুশ শাসন উল্লেখ করেছেন।

জােতদার-তালুকদারের শাসনঃ

প্রজারা জমিতে যে ধান চাষ করত সেই ধান তুলতে হতো জমিদারের খামারে। হিসেব অনুযায়ী জমিদারের পাওনাগন্ডা মিটিয়ে দেওয়ার পর অবশিষ্ট ধানটুকু চাষী ঘরে নিয়ে যেতে পেত। শুধু চলতি বছরের চুক্তির ধান নয়, বিগত বছরের কর্জার ধানও শোধ করতে হতো টাকায় এক মন হিসেবে। সেইসঙ্গে আদায় করা হত আবওয়াব বা অতিরিক্ত কর। লেখক বলেছেন, ‘খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি’। চাষিরা বুকের রক্ত জল করে যে ফসল ফলাতো তার প্রায় সবটাই জমিদারের খামারে তুলে শুধু পালা হাতে করে ঘরে ফিরত। এমনই ছিল জােতদার আর তালুকদারের নিরঙ্কুশ শাসন।

এই অধ্যায় থেকে অন্যান্য প্রশ্নোত্তরঃ

error: Content is protected !!