একাদশ শ্রেণির নতুন পাঠ্যসূচিতে প্রথম সেমিস্টারে যেদুটি বাংলা কবিতা রয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতাটি।
পাঠ্য কবিতা: | ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর |
রচয়িতা: | মাইকেল মধুসূদন দত্ত |
মূল গ্রন্থ: | চতুর্দশপদী কবিতাবলী |
প্রকাশকাল: | ১৮৬৫ |
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর || Iswar Chandra Vidyasagar by Madhusudan Dutta
ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের কাছে বিদ্যাসাগর নামেই খ্যাত। তবে, পান্ডিত্যই তার একমাত্র পরিচয় নয়। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি বহু মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে গেছেন। তিনি সত্যই একজন মহানুভব, মহাপুরুষ। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত আলোচ্য কবিতায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সেই দেবতুল্য রূপটি নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর: সারসংক্ষেপ
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী হলেও দারিদ্র তার সারা জীবনের সঙ্গী ছিল। পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বহুবার কবিকে অর্থ সাহায্য করেছিলেন। বিদ্যাসাগরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাইকেল মধুসূদন দত্ত এই কবিতাটি রচনা করেছিলেন।
ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতাটি হল একটি সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা। সনেট হল এমন একরকম কবিতা যা ১৪ চরণে বিন্যস্ত এবং প্রতি চরণে ১৪ টি করে অক্ষর থাকে। সনেটের প্রথম ৮ চরণের স্তবককে বলা হয় অষ্টক আর শেষ ছয় চরণের স্তবককে বলা হয় ষটক। প্রথম স্তরকে একটি ভাবের প্রবর্তনা হয়, আর শেষ স্তবকে ভাবের পরিণতি ঘটে।
আলোচ্য কবিতার প্রথম স্তবকে কবি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে দয়ার সাগর বলে উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বিদ্যাসাগরকে পর্বতশ্রেষ্ঠ হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং তার চরণে আশ্রয় পাওয়ার জন্য কবি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেছেন।
কবিতার শেষ স্তবকে পর্বতের অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। পর্বত থেকে নদীর জন্ম হয় এবং নদীর জলে পুষ্ট হয়ে গাছ ফুল-ফল এবং ছায়া প্রদান করে।
এইভাবে, কবিতার প্রথম স্তবকে ঈশ্বরচন্দ্রকে পর্বতের সঙ্গে তুলনা করে যে ভাবের প্রবর্তনা হয়েছিল, শেষ স্তবকে সেই ভাবের পরিণতি ঘটেছে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর: বহু বিকল্পভিত্তিক (MCQ) প্রশ্নোত্তর
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নতুন পাঠ্যসূচি (২০২৪) অনুযায়ী একাদশ শ্রেণীর প্রথম সেমিস্টারে কেবল বহু বিকল্পধর্মী প্রশ্ন (বা এমসিকিউ) থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে, ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’ কবিতা থেকে শীঘ্রই এমসিকিউ মক টেস্ট দেওয়া হবে।