রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গুরু’ নাটক থেকে বড় প্রশ্ন
Class XI Bengali Drama “Guru” by Rabindranath Tagore || একাদশ শ্রেণির পাঠ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বাংলা নাটক “গুরু”। বড় প্রশ্ন (মান-৫)।
প্রশ্নঃ ‘গুরু’ নাটকে দর্ভকদের পরিচয় দাও।
উত্তর– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গুরু’ নাটকে দুটি ভিন্ন সংস্কৃতির জনগোষ্ঠীর সাক্ষাৎ পাই। একদল হল যূনক আর একদল দর্ভক। নাটকের তৃতীয় দৃশ্যে দর্ভকদের আবির্ভাব। এরা অচলায়তনের প্রান্তে বসবাস করে।
দর্ভক কথাটির সাধারণ অর্থ কোমল তৃণ। বৈষ্ণব মতে ভক্তের স্বভাব তৃণের মতো কোমল হওয়া উচিত। এই নাটকের দর্ভকরাও সেইরূপ কোমল প্রকৃতির। একইসঙ্গে বৈষ্ণব সাধকের মতো এরাও অহৈতুকী ভক্তিতে বিশ্বাসী। তারা গুরুকে ‘গোঁসাই ঠাকুর’ বলেই চেনে। আবার, তাদের সাধনার পন্থা নামগান।
দর্ভকরা অচলায়তনের অনুগত। অচলায়তনের অধিবাসীরা তাদেরকে অস্পৃশ্য বলে মনে করে। তবে সেইজন্য তাদের কোনো প্রতিবাদ নেই। বরং, তারা একটু বেশিই বিনয়ী। আচার্য আর পঞ্চক তাদের পাড়ায় আশ্রয় নেবার পর দর্ভকরা তাদের যথাসাধ্য সেবা-যত্ন করেছিল। যখন তারা শুনেছিল যে দাদাঠাকুরের দল অচলায়তনের প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়েছে তখন অচলয়াতনকে রক্ষা করার জন্য তারা লড়াই করার উদ্যোগ নেয়।
পরিশেষে বলা যায়, দর্ভকদের অবস্থান যূনক আর অচলায়তনিকদের মাঝামাঝি। অচলায়তনের অধিবাসীরা জ্ঞানমার্গে ঈশ্বরের আরাধনা করে আর যূনকরা কর্মের পূজারী। দর্ভকরাও নিজেদের মতো করে ঈশ্বর আরাধনা করে। আবার অচলায়তনবাসীদের মতো তারা কর্মহীন নয়। অর্থাৎ ভক্তি আর কর্ম- এই দুইই দর্ভকদের চরিত্রে বর্তমান। (শব্দ- ১৫৫)
গুরু নাটকের অন্যান্য প্রশ্নোত্তর