রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গুরু’ নাটক থেকে বড় প্রশ্ন
Class XI Bengali Drama “Guru” by Rabindranath Tagore || একাদশ শ্রেণির পাঠ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বাংলা নাটক “গুরু”। বড় প্রশ্ন (মান-৫)
প্রশ্ন- “তার রাগটা কী রকম সেইটে দেখবার জন্যেই তো এ কাজ করেছি”- বক্তা কে? এখানে কার রাগের কথা বলা হয়েছে? তিনি রেগে গেলে কী হয়? তার রাগের ধরন দেখার জন্য বক্তা কী করেছিল ? ১+ ১+১+২
উত্তর– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গুরু’ নাটকে অচলায়তনের আবাসিক পঞ্চক এই কথাগুলি বলেছিল।
আলোচ্য অংশে মহাময়ূরী দেবীর রাগের কথা বলা হয়েছে।
অচলায়তনের বিশ্বাস অনুযায়ী, মহাময়ূরী দেবীর পুজোতে কোনো অনাচার ঘটলে তিনি ভয়ানক রেগে যান এবং তিনদিনের দিন একটি সাপ এসে অনিষ্টকারীকে দংশন করে।
পঞ্চকের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এটাই যে সে যুক্তিবাদী। কোনো কিছু চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে নেওয়ার মতো মানসিকতা তার ছিল না। অচলায়তনে প্রচলিত প্রতিটি নীতি-নিয়ম সে নিজে পরখ করে তবেই বিশ্বাস করত। মহাময়ূরী দেবীর ক্ষেত্রেও সে একই কাজ করেছিল।
গত মাসের শনিবার মহাময়ূরী দেবীর পুজো ছিল। সেদিন পঞ্চক কাঁসার থালায় ইঁদুরের গর্তের মাটি রেখে তার উপর পাঁচটা শেয়ালকাঁটার পাতা এবং তিনটে মাষকলাই সাজিয়ে দিয়ে আঠারো বার ফুঁ দিয়েছিল। মহাময়ূরী দেবী সত্যিই রাগেন কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য পঞ্চক এই কাজ করেছিল।
গুরু নাটকের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
- পৃথিবীতে জন্মেছি, পৃথিবীকে সেটা খুব…
- পঞ্চকদাদা বলে অচলায়তনে তাঁকে কোথাও ধরবে না…
- গুরু নাটকের ঘটনাস্থলগুলি
- ও আজ যেখানে বসেছে সেখানে তোমাদের তলোয়ার…
- আমরা প্রাণ দিয়ে ঘর বাঁধি, থাকি…
- মহাপঞ্চকের সঙ্গে আচার্য অদীনপূণ্যের বিরোধ
- রূপক-সাংকেতিক নাটক হিসেবে গুরু
- পঞ্চক এবং মহাপঞ্চক চরিত্র দুটির তুলনা
- গুরু নাটকের নামকরণের সার্থকতা
- ওকে অচলায়তনের ভুতে পেয়েছে