একাদশ শ্রেণির নতুন পাঠ্যসূচিতে প্রথম সেমিস্টারে একটি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ প্রবন্ধগ্রন্থের অন্তর্গত ‘বিড়াল’ প্রবন্ধটি।
পাঠ্য প্রবন্ধ: | বিড়াল |
রচয়িতা: | বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
মূল গ্রন্থ: | কমলাকান্তের দপ্তর |
প্রকাশকাল: | ১৮৭৫ (গ্রন্থাকারে) |
বিড়াল || Biral by Bankim Chandra Chattopadhyay
প্রাবন্ধিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম সেরা রচনা হল কমলকান্তের দপ্তর। এই গ্রন্থের প্রতিটি প্রবন্ধই অনবদ্য। আপাতদৃষ্টিতে লঘু রসের রচনা মনে হলেও একেকটি প্রবন্ধে সমাজের গুরুগম্ভীর সমস্যাগুলোর উপর আলোকপাত করা হয়েছে। ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
বিড়াল: সারসংক্ষেপ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘কমলকান্তের দপ্তর’ গ্রন্থের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হল বিড়াল।
কমলাকান্ত একজন চালুলোহীন মানুষ। নসিবাবুর বৈঠকখানায় তিনি থাকেন। তিনি অল্পস্বল্প আফিমের নেশা করেন এবং আশ্চর্যের বিষয় হলো নেশা করার পর তিনি কখনো দিব্যদৃষ্টি লাভ করেন আবার কখনো দিব্যকর্ণ প্রাপ্ত হন।
একদিন রাতে কমলাকান্ত হুঁকা হাতে নিয়ে ঝিমোচ্ছিলেন। এমন সময় একটি বিড়াল ডেকে উঠল ম্যাও। কমলাকান্ত দেখেন, প্রসন্ন তার জন্য যে দুধ রেখে গিয়েছিল, বিড়ালটি তা খেয়ে ফেলেছে। তিনি একটি ভাঙ্গা লাঠি নিয়ে বিড়ালের কাছে গেলেন কিন্তু বিড়ালটি তাতে ভয় পেল না। উপরন্তু বিড়ালটি তাকে উপদেশ দিতে শুরু করল। যেহেতু তিনি আফিম খেয়েই ছিলেন, তাই দিব্যকর্ণ দিয়ে বিড়ালের কথাগুলি শুনতে পেলেন।
বিড়ালের মতে, চোর চুরি করে পেটের দায়ে। চুরি করা যদি অপরাধ হয় তবে যার জন্য চোর চুরি করতে বাধ্য হয়, সেই কৃপণ ধনী লোকেরও সমান শাস্তি হওয়া উচিত।
এইভাবে, বিড়ালটি আমাদের সমাজে দরিদ্রের প্রতি ধনীর বঞ্চনাকে তুলে ধরেছে।
বিড়াল: বহু বিকল্পভিত্তিক (MCQ) প্রশ্নোত্তর
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নতুন পাঠ্যসূচি (২০২৪) অনুযায়ী একাদশ শ্রেণীর প্রথম সেমিস্টারে কেবল বহু বিকল্পধর্মী প্রশ্ন (বা এমসিকিউ) থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে, ‘বিড়াল’ প্রবন্ধ থেকে শীঘ্রই এমসিকিউ মক টেস্ট দেওয়া হবে।