দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ভাষাবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে রূপতত্ত্ব। রূপতত্ত্ব বিষয়টিও একটু কঠিন তবে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে অতি অল্প পরিমাণই রয়েছে। যাইহোক, রূপতত্ত্ব বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য মূল বইটি পড়া যেতে পারে অথবা নীচের ভিডিওটি দেখা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, ভিডিওটি কেবলমাত্র দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য বানানো হয়েছে।
রূপতত্ত্ব
সূচিপত্র
রূপতত্ত্বের প্রধান আলোচনার বিষয় হল রূপ। ‘রূপ’ হল ভাষার ক্ষুদ্রতম অর্থযুক্ত একক। তবে শব্দ বলতে যা বুঝি তা কিন্তু রূপ নয়। আবার রূপ দলও নয়। একটি উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বিশ্লেষণ করা যাক।
ফেরিওয়ালা- এটি একটি শব্দ;
ফেরি, ওয়ালা- এই দু’টি রূপ;
ফে,রি,ও,আ,লা- এগুলি দল।
রূপমূল ও সহরূপ
অর্থযুক্ত ক্ষুদ্রতম একক হল রূপমূল আর সহরূপ হল রূপের বৈচিত্র্য। যেমন- একটা, দুটো, তিনটে- এই শব্দগুলিতে ‘টা’, ‘টো’ এবং ‘টে’ একই মানে বোঝায় কিন্তু শুনতে আলাদা। এই ‘টা’, ‘টো’ এবং ‘টে’ হল একে অপরের সহরূপ।
রূপমূল দু’রকমের- স্বাধীন ও পরাধীন। ‘বইগুলো’ এই শব্দটিতে ‘বই’ হল স্বাধীন আর ‘গুলো’ রূপমূলটি হল পরাধীন কারণ এটি ‘বই’ এর গায়ে হেলান দিয়ে আছে।
রূপমূলের আলোচনার মধ্যে পড়ে শব্দের উৎপত্তির নানা দিক। যেমন- সমাস, প্রত্যয়, ক্লিপিংস প্রভৃতি।
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
- মুন্ডমাল শব্দ
- স্বাধীন ও পরাধীন রূপমূল পার্থক্য
- রূপতত্ত্ব- নিষ্পাদক রূপমূল
- নিষ্পাদক ও সমম্বয়ী রূপমূল
- রূপতত্ত্ব অনুযায়ী সমাস
এমসিকিউ টেস্ট
রূপতত্ত্ব অধ্যায় থেকে বাছাই করা প্রশ্নের এমসিকিউ টেস্ট। উপরের ভিডিওটি দেখলে বা মূল বই থেকে ‘রূপতত্ত্ব’ অধ্যায়টি পড়লে প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া যাবে।