কীজন্য কবির সঙ্গে তাঁর পড়শীর সাক্ষাৎ হয়নি সেটাও কবি ব্যাখ্যা করেছেন। পড়শীর গ্রামের চারিদিকে রয়েছে অগাধ জলরাশি। এই জল পেরিয়ে কবি তাঁর পড়শীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন নি। আসলে এই জলরাশি হল মানুষের বিষয়বাসনা এবং অজ্ঞানতার প্রতীক। সেই জলের কোনো কিনারা নেই যেমন মানুষের বাসনার কোনো অন্ত নেই। আবার কবি আর পড়শির মাঝখানের ব্যবধান দূর করতে পারত কোনো ‘তরণী’। কিন্তু মানুষকে বাসনা-সমুদ্র পার করার মতো কোনো তরণীই নেই। কবির খুব ইচ্ছা সেই পড়শির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কারণ পড়শি কবিকে একবার ছুঁলে কবির পার্থিব যন্ত্রণা দূর হয়ে যেত। আসল কথা হল, পার্থিব সুখভোগের আশায় মানুষ এমনই নিমজ্জিত থাকে যে কোনোদিনই ঈশ্বরের কাছে পৌছাতে পারেনা। তাই একইসঙ্গে থেকেও মানুষের সঙ্গে ঈশ্বরের লক্ষ্য যোজন পার্থক্য থেকে যায়।