ছাতির বদলে হাতি পাওয়ার ঘটনা

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের আমার বাংলা

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা “আমার বাংলা” গ্রন্থের ‘ছাতির বদলে হাতি’ শীর্ষক পরিচ্ছেদ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর|| WBCHSE Class 12 Bengali Rapid Reader “Amar Bangla” by Subhas Mukhopadhyay. Important question answers from Amar Bangla.

প্রশ্নঃ ‘ছাতির বদলে হাতি’ লাভের ঘটনাটি নিজের ভাষায় লেখ।

উত্তরঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের তৃতীয় পরিচ্ছেদটির নাম ‘ছাতির বদলে ছাতি’। ব্রিটিশরাজের আমলে জোতদার- মহাজনেরা সাধারণ মানুষদের কীভাবে শোষণ করত- লেখক তার একটি নমুনা দিয়েছেন এই পরিচ্ছেদে।

গারো পাহাড়ের নিচের কোনো গ্রাম থেকে হালুয়াঘাট বন্দরে সওদায় এসেছিল চেংমান নামের এক চাষি। হঠাৎ মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হলে সে মনমোহন মহাজনের দোকানের ঝাঁপির নীচে আশ্রয় নেয়। বহুক্ষণ পর্যন্ত বৃষ্টি থামল না, চেংমানের বাড়ি ফেরাও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। বাড়িতে তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। সে না ফিরলে বাড়িতে হাড়ি চড়বে না-এই সব চিন্তা করছিল। এমন সময় মনমোহন মহাজন দয়ার অবতার সেজে তার কলকাতা থেকে কেনা ছাতাটি চেংমানকে ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরতে বলে।  ছাতাটা দামী তাই চেংমান কিন্তু কিন্তু করছিল। শেষমেশ মহাজনের আশ্বাসে সে ছাতা নিয়ে বাড়ি ফিরে।

এরপর প্রতিবার হাটে এসে চেংমান মনমোহনকে বলে ছাতার দামটা নিতে। কিন্তু মহাজন ‘নিচ্ছি-নেব’ করে টাকাটা নিচ্ছিল না। বছরখানেক পরে মনমোহন চেংমানকে পাকড়াও করে। চেংমান বুঝে যায় মহাজনের চালাকি। কিন্তু তখন আর কিছু করার থাকে না। ছাতার মুল্য বাবদ মহাজন তার কাছে হাজার টাকা দাবী করে যা কিনা তখনকার দিনে একটা হাতির দামের সমান। এইভাবে মহাজন মনমোহন চেংমানকে ছাতি দিয়ে হাতির মূল্য আদায় করেছিল।

এই পরিচ্ছেদ থেকে অন্যান্য প্রশ্নোত্তরঃ

error: Content is protected !!