শিকার
সূচিপত্র
কবি পরিচিতি
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কালের কবিদের মধ্যে অগ্রগণ্য জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)। গ্রামবাংলার নিসর্গ প্রকৃতির প্রতি কবির ভালোবাসা আমাদের মোহিত করে। জীবনানন্দ দাশ এমন একজন কবি যিনি তাঁর জীবদ্দশায় যতখানি জনপ্রিয় ছিলেন, মৃত্যুর পর তার থেকে বহুগুণ বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। কবির বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মাঝে রয়েছে রূপসী বাংলা, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, বেলা অবেলা কালবেলা ইত্যাদি।
উৎস– ‘শিকার’ কবিতাটি কবির ‘বনলতা সেন’ এবং ‘মহাপৃথিবী’ উভয় কাব্যগ্রন্থেই রয়েছে।
বিষয় সংক্ষেপ
জীবনানন্দের কবিতাকে রবি ঠাকুর বলেছিলেন চিত্ররূপময়। চিত্ররূপ কথার অর্থ হল Image (Poetic image)। জীবনানন্দের কবিতার শৈলী এবং ভাষা এমনই পড়লে মনে হবে হয়তো কোনো ছবির বই হাতে নিয়ে দেখছি। আলোচ্য কবিতাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। কবিতার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানার আগে একবার মূল কবিতাটি পড়ে নেওয়া দরকার আছে। তবে হাতের কাছে বই না থাকলে এই ইউটিউব ভিডিওটি দেখে নিতে পারো। কবিতাটি ভালোভাবে বোঝার জন্য নীচের ভিডিওটি দেখা যেতে পারে। এই ভিডিওতে কবিতার প্রতিটি লাইন ধরে বিশদে আলোচনা করা হয়েছে। ভিডিওটি ভালোভাবে দেখলে এই কবিতা থেকে যেকোনো বড় প্রশ্ন, ছোটো প্রশ্ন এবং এমসিকিউ-এর উত্তর দেওয়া যাবে।
এই কবিতায় দুটি ভোরের বর্ননা আছে। প্রথম ভোরটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। চারিদিকে সবুজের সমারোহ আর তার মাঝে শান্তিতে আছে প্রান্তিক মানুষের দল। গ্রামবাংলার ভোর যেমন শান্ত-স্নিগ্ধ-কোমল তেমনি এই কবিতার প্রথম ভোরটি।দ্বিতীয় ভোরের বর্ননায় প্রধান চরিত্র একটি বাদামি হরিণ। প্রকৃতির কোলে লালিত অহিংস, কোমল স্বভাবের এই প্রাণীটি সারারাত ধরে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করেছে। চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য হরিণটি সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে বেড়িয়েছে। চিতাবাঘের হাত থেকে সে উদ্ধার পেয়েছিল কিন্তু মানুষের লোভ যেকোনো হিংস্র প্রাণীর থেকেও ভয়ংকর। কিছু শহুরে শিকারি নির্মমভাবে হরিণটিকে শিকার করে তার মাংস রান্না করে খেয়ে ঘাসের বিছানায় শুয়ে খোসমেজাজে আড্ডা জমিয়েছে। ইংরেজিতে Sadistic Pleasure বলে একটা কথা আছে। এই কবিতার শিকারিরা হরিণটিকে শিকার করে সেই আনন্দ অনুভব করেছে।
শব্দার্থ
নোনা= আতাজাতীয় গাছ, গোধূলিমদির= গোধূলির মাদকতাপূর্ণ (গোধূলি কথার আক্ষরিক অর্থ হল গো বা গোরুর ধূলি কিন্তু যে সময় রাখাল বালকেরা গোরুর পাল নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে সেই সময়কে বলা হয় গোধূলি বেলা।), মানুষি= মানবী বা স্ত্রীলোক, দেশোয়ালি= প্রান্তিক মানুষজন, মোরগফুল= ফুলবিশেষ, মেহগনি= গাছবিশেষ, কুঞ্চিত= কোঁচকানো, টেরিকাটা= বিশেষভাবে ছাঁটাই করা চুল, নিস্পন্দ= স্পন্দনহীন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
- নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম
- ‘শিকার’ কবিতায় ভোরের পরিবেশ..
- এসেছে সে ভােরের আলােয় নেমে
- এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল
- এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে
- তারাটির সম্পর্কে কবি কী কী বলেছেন
- শিকার কবিতার শিকারীদের মনস্তত্ব
- প্রথম ভোরের বর্ণনায় কবি যে উপমা…
- আগুন জ্বলল আবার
- শিকার কবিতায় উল্লেখিত দুটি ভোরের বর্ণনা
এমসিকিউ মক টেস্ট
কবিতাটি ভালোভাবে পড়া হয়ে গেলে এই লিংক থেকে MCQ Mock Test দিতে পারো। এই মক টেস্টটি বিগত বছরগুলিতে যে ধরণের প্রশ্ন এসেছে তেমনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দিয়ে সাজানো হয়েছে। তাহলে নিজেই নিজের পড়া যাচাই করে নাও।