একইসঙ্গে স্বামীজি একথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, মানব সভ্যতার মূল কান্ডারী এই শ্রমজীবীরা হলেও তারা কোনোদিন যোগ্য সম্মান পায়নি, বরং চিরকাল তারা দারিদ্র আর অবহেলার শিকার। স্বামীজী বলেছেন “দশ হাজার লোকের বাহবার সামনে কাপুরুষও অক্লেশে প্রাণ দেয়, ঘোর স্বার্থপরও নিষ্কাম হয়”, কিন্তু ভারতের সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ কারো বাহবার আশা না করে নিজ নিজ কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সকলের অজান্তে তারা যেসব ক্ষুদ্র কাজ করে যাচ্ছে তাতেই আসল বীরত্ব। তাই স্বামীজি তাদের সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়েছেন।