কিন্তু প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার শ্রেণী ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রেণীবিভাজন রয়েছে। যেমন বলা যায়, সামাজিক শ্রেণি। শিক্ষাব্যবস্থার সবকটি শ্রেণী উত্তীর্ণ হওয়ার পর একজন শিক্ষার্থী এই সামাজিক শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হয়। অর্থাৎ, শিক্ষাগ্রহণ শেষ হলে একজন মানুষ চাকুরীজীবী, বেকার, ব্যবসায়ী প্রভৃতি যে কোনো সামাজিক শ্রেণিতে চলে যেতে পারে। সেই কথাই কবিতার এই অংশে বলা হয়েছে।
অথবা, একের পর এক শ্রেণী পাশ করে শিশু শিক্ষার্থীর মনে হয়তো এই ধারণাই জন্ম নেয় যে, সারাজীবন ধরেই তাকে কোনো না কোনো শ্রেণীতে থাকতে হবে। তাই সে বলে- ‘‘আমি তবু পরের শ্রেণীতে যাব’’।