শ্রেণী একাদশ
শিক্ষার সার্কাস
বড় প্রশ্ন (মান-৫)
১। “যদি সব শ্রেণি শেষ হয়ে যায়/ আমি তবু পরের শ্রেণিতে যাবো”-
“সব শ্রেণি শেষ হয়ে যাওয়া” এবং “তবুও পরের শ্রেণিতে যাওয়া” কথাগুলির তাৎপর্য কী?
উত্তর- আইয়াপ্পা পানিকরের লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতাটিতে প্রথাগত শিক্ষার অসারতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় একটি পাঠক্রমকে শিশুর বয়স এবং পরিণমন অনুযায়ী অনেকগুলি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাগগুলিকেই বলা হয় শ্রেণী। শ্রেণীগুলি আবার বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত। যেমন- প্রাথমিক, মাধ্যামিক, স্নাতক স্তর, স্নাতকোত্তর স্তর ইত্যাদি। একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাব্যবস্থার একটি স্তর থেকে আর একটি স্তরে এবং একটি শ্রেণী থেকে আর একটি শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। এই উত্তীর্ণ হওয়ার মাপকাঠি হল কেবলমাত্র পরীক্ষায় পাশ করা। শিক্ষার বা জ্ঞান অর্জনের কোন শেষ নেই কিন্তু শিক্ষালয়ের শ্রেণীর শেষ আছে। সুতরাং নিরবিচ্ছিন্নভাবে পড়াশোনা করলে সব কটা শ্রেণী পাশ করা যায়- তারপর আর কোনো শ্রেণী থাকে না।
পরের পাতায়