“আমাদের শুকনো ভাতে লবনের ব্যবস্থা…

নুন

কবি- জয় গোস্বামী

বড় প্রশ্ন (মান-৫)

প্রশ্ন- “আমাদের শুকনো ভাতে লবনের ব্যবস্থা হোক”- কারা কাদের কাছে এই দাবি করেছে? এই দাবি কতটা যুক্তিসঙ্গত? ২+৩

উত্তর- কবি জয় গোস্বামীর ‘নুন’ কবিতায় সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষজন, যারা দিন আনে দিন খায়, তারাই একথা বলেছে।

তারা সমাজের উচ্চশ্রেণির মানুষজনের কাছে তথা শাসকশ্রেণীর কাছে এই দাবি করেছে।

জয় গোস্বামীর কবিতা নুন
জয় গোস্বামীর কবিতা নুন

জন্মসূত্রে আমরা সকলেই সমান কিন্তু মানুষ যত বড় হয় ততই বৈষম্যগুলি প্রকট হতে থাকে। সবকটি বৈষম্যের মধ্যে প্রধানতম হল আর্থিক বৈষম্য কারণ অর্থই হল সভ্যতার চালিকাশক্তি। আর্থিক বৈষম্যই মানুষকে ধনী অথবা নির্ধন হিসাবে চিহ্নিত করে; অতিরিক্ত আহারে কারো শরীরে মেদ জমে, কেউবা অনাহারে দিন কাটায়। আলোচ্য কবিতায় এই সকল নির্ধন, অর্ধভুক্ত কিম্বা অভুক্ত মানুষের চাহিদার কথাই উঠে এসেছে। সমাজ তথা রাষ্ট্রের কান্ডারি শাসকশ্রেণীর কাছে তারা বেঁচে থাকার ন্যূনতম রসদটুকু দাবি করেছে।

তাদের এই দাবি সম্পূর্ণই সঙ্গত কারণ জীবনধারণের অধিকার মানুষের প্রাথমিক অধিকার আর জীবনধারণের জন্য তিনটি মৌলিক চাহিদা হল অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থান। আধুনিক বিশ্বে প্রতিটি রাষ্ট্রই জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র এবং সেখানে প্রতিটি নাগরিকের অন্নসংস্থানের ভার, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, রাষ্ট্রের উপরই বর্তায়। তাই “শুকনো ভাতে লবণের ব্যবস্থা” করতে বলে বক্তা কোনো অন্যায় আবদার করেনি।

error: Content is protected !!