দ্বীপান্তরের বন্দিনী
কবি- কাজি নজরুল ইসলাম
বড় প্রশ্ন (মান ৫)
প্রশ্ন- ‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ কবিতায় কবির স্বদেশপ্রেম কি ভাবে প্রকাশিত হয়েছে আলোচনা কর। ৫
উত্তর- কাজি নজরুল ইসলামের ‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ কবিতাটি হল পরাধীন ভারতজননীর বন্দনাগীতি। আলোচ্য কবিতায় কবি ইংরেজ-শাসিত ভারতের করুণ রূপটি তুলে ধরেছেন এবং একইসঙ্গে “মুক্ত-ভারতীর” স্বপ্ন দেখছেন।
১) পরাধীনতার জন্য দুঃখবোধ- ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতবর্ষ কবিকে ব্যথিত করেছে। পরাধীন জন্মভূমির সঙ্গে একাত্ম হয়ে কবি অনুভব করছেন পুণ্যবেদীর শূন্যে ধ্বনিত বন্দিনী ভারত-আত্মার ক্রন্দন।
২) বিপ্লববাদের প্রতি সমর্থন- কবি নজরুল ইসলাম ছিলেন বিদ্রোহী কবি। তাই স্বাধীনতার জন্য আবেদন-নিবেদনের নীতিতে বিশ্বাসী নরমপন্থীদের তিনি “শৌখীন পূজারী” বলে সমালোচনা করেছেন। কবি বিশ্বাস করতেন যে, রাক্ষসপুরি-তুল্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে ভেঙে চুরমার করতে হলে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রয়োজন। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার এইসব স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কারাগারে বন্দি করে তাদের প্রতি অকথ্য অমানবিক অত্যাচার চালাত। কবির ভাষায়-
“সিংহেরে ভয়ে রাখে পিঞ্জরে,
ব্যাঘ্রেরে হানে অগ্নি-শেল”
আলোচ্য কবিতায় বীর বিপ্লবীদের প্রতি কবির সহানুভূতি, সমর্থন এবং শ্রদ্ধা বিশেষ ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। কবির মতে, ভারতমাতার স্বাধীনতা-যজ্ঞে “বীর ছেলেদের চর্বি ঘি” একান্তভাবেই প্রয়োজন।
পরের পাতায়