তোমরা হাত বাড়াও

আমার বাংলা

অধ্যায়- হাত বাড়াও

প্রশ্ন- “তোমরা হাত বাড়াও, তাকে সাহায্য করো”- লেখক কাকে, কীভাবে কেন সাহায্য করতে বলেছেন? ১+২+২ (২০১৬)

উত্তর- সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের ‘হাত বাড়াও’ অধ্যায়ে লেখক অদ্ভুত এক জন্তুর পরিচয় দিয়েছেন। ঈষৎ কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল। লেখক তখন রাজবাড়ির বাজারে বসে ছিলেন। স্টেশনের রাস্তায় মিলিটারি ছাউনির পাশে লেখক সেই অদ্ভুত জন্তুকে দেখেছিলেন। পরিচিত জন্তুর সঙ্গে তার কোনো মিল ছিল না। তার চোখগুলো জ্বল জ্বল করছিল। চার পায়ে ভর দিয়ে সেই জন্তুটি রাস্তা থেকে কিছু খুঁটে খুঁটে খাচ্ছিল। সামনে আসতেই লেখক বুঝতে পারেন যে সেই জন্তুটি আর কিছু নয়, সে তো ‘অমৃতস্য পুত্র’ মানুষ।

সময়টা ছিল পঞ্চাশের মন্বন্তরের। অনাহার-ক্লিষ্ট এই মানবসন্তানের মধ্যেই লেখক দুর্ভিক্ষ-পীড়িত বাংলাকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন। বিশ্বযুদ্ধ ও মন্বন্তরের করালগ্রাসে অভুক্ত বাংলাকে সাহায্য করার কথাই লেখক বলেছেন।

লেখক বলেছেন, সেই দুটি জ্বলন্ত চোখ শান্তি চায়। সেই শান্তি তখনই আসবে যখন চাষির গোলাভরা ধান হবে, কারখানার প্রতিটি শ্রমিকের পেটে অন্ন জুটবে, কালোবাজারি বন্ধ হয়ে মনুষ্য-সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ রোধ করা হবে এবং সর্বোপরি সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। অনাহার-জনিত মৃত্যুমিছিল বন্ধ করলেই তাকে সাহায্য করা হবে।

error: Content is protected !!