বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস|| Bangla Chalacchitrer Itihas
WBCHSE Class 12 (Twelve) Bengali- Bangla Chalacchitrer Itihas Long Question || উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস- বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস অধ্যায় থেকে বড় প্রশ্ন। প্রশ্নের বিষয়- বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক তরুণ মজুমদারের অবদান।
প্রশ্ন- বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক তরুণ মজুমদারের অবদান আলোচনা করো। [৫]
উত্তরঃ বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তরুণ মজুমদার (১৯৩১-২০২২) একজন গুণী এবং সফল চলচ্চিত্রনির্মাতা হিসেবেই চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। দীর্ঘ ষাট বছরের কর্মজীবনে তিনি ৩৩টি ছবি পরিচালনা করেছেন, যার মধ্যে অনেকগুলি বাণিজ্যসফল ছবিও রয়েছে।
যাত্রিক পর্বঃ কর্মজীবনের শুরুতে তারুণ মজুমদার ‘যাত্রিক’ নামে একটি পরিচালক-গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ছাড়াও এই গোষ্ঠীতে ছিলেন শচীন মুখোপাধ্যায় এবং দিলীপ মুখোপাধ্যায়। যাত্রিক গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থেকে তরুণ মজুমদার মোট তিনটি ছবি পরিচালনা করেন। সেগুলি হল- চাওয়া পাওয়া (১৯৫৯), কাঁচের স্বর্গ (১৯৬২) এবং পলাতক (১৯৬৩)।
একক-পরিচালনাঃ ১৯৬৫ সালে তিনি এককভাবে দুটি ছবি পরিচালনা করেন। সেগুলি হল- আলোর পিপাসা (১৯৬৫) এবং একটুকু বাসা (১৯৬৫)। ১৯৬৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বালিকা বধূ’ একটি বাণিজ্যসফল ছবি। তার পরিচালনায় অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হল- শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩), ফুলেশ্বরী (১৯৭৪), সংসার সীমান্তে (১৯৭৫), গণদেবতা (১৯৭৮), দাদার কীর্তি (১৯৮০), আপন আমার আপন (১৯৯০), আলো (২০০৩) প্রভৃতি।
কৃতিত্বঃ চিত্রনির্মাতা হিসেবে তরুণ মজুমদার ছিলেন মনেপ্রাণে একজন বাঙালি এবং তার ছবিগুলি ছিল বাঙালিয়ানায় ভরপুর।
দ্বিতীয়ত, সাহিত্য থেকে সিনেমায় রূপান্তরে তিনি একজন দক্ষ ছিলেন। বিভিন্ন সাহিত্য অবলম্বন করে তিনি যেসব সিনেমা তৈরি করেন, সেইসব সিনেমাও সাহিত্যের মতোই মনোরম। উদাহরণ হিসেবে ‘গণদেবতা’, ‘আলো’ প্রভৃতি সিনেমার নাম করা যায়।
তৃতীয়ত, তিনি অনেক নতুন শিল্পীকে আত্মপ্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছেন।
পুরস্কার ও সম্মানঃ সারা জীবনে তিনি অনেক পুরস্কার পেয়েছেন, বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে চারটি জাতীয় পুরস্কার, সাতটি বি.এফ.জে.এ. সম্মান, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং একটি আনন্দলোক পুরস্কার। ভারত সরকার থেকে ১৯৯০ সালে তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়।
এই অধ্যায় থেকে অন্যান্য প্রশ্নঃ